[ এই লেখাটি ৩০ শে জুন ১৯৯৯ তে জাতির কথা পত্রিকা তে প্রকাশিত হয়ে ছিল । কার্গিল যুদ্ধের সময় ]
কাশ্মীরে কারগিল, দ্রাস বাতালিক প্রভৃতি অঞ্চলে পাক সেনাদের মদতে কাশ্মীরি আফগান প্রভৃতি উগ্র পন্থী রা যে সশস্ত্র অনুপ্রবেশ চালিয়েছে তার ফলে সীমান্তে শুরু হয়েছে ভারত পাকিস্থান যুদ্ধ । পাকিস্থান সৃষ্টির পর থেকে ই ১৯৪৭,১৯৬৫,১৯৭১ পরপর তিনবার দুই দেশে মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে আর কাশ্মীর ছিল সংঘাতের বলয়ের মধ্যে । আর এই সংঘাতের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে ।
সাংবিধানিক বিধি অনুসারে কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে সংযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন । সেই অন্তর্ভুক্তি কাশ্মীর কে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করেছে খণ্ডিত ভারতের । কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি অপরিবর্তনীয় এবং এই প্রশ্নে কোন বিতর্ক বা আলোচনা হতে পারে না । বরং দৃঢ় ভাবে পাকিস্থান কে অবিলম্বে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ১৯৪৭ সালের বেআইনি ভাবে এবং বল পূর্বক পাকিস্থান কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা খালি করে দিতে হবে । পাকিস্থানের সৈনিক রা ইউনিফর্ম ছেড়ে কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে । বাধ্য হয়ে মহারাজা হরি সিং ভারত ভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভূত করেন । এবং অঙ্গ রাজ্য কাশ্মীরের রক্ষায় ভারতীয় সেনা বাহিনী শৌর্য ও বীরত্বের সাথে সেদিন কাশ্মীরকে হানাদার মুক্ত করে । কাশ্মীরে যখন ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রায় গোটা রাজ্যকে হানাদার দুশমন দের কবল থেকে মুক্ত করতে চলেছে তখনই লর্ড মাউন ট ব্য টন এর চাপে পড়ে প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহেরু বিষয়টা রাষ্ট্র সঙ্ঘে নিয়ে গেছেন । ফলে দখলীকৃত অংশ রয়ে গেছে পাকিস্থানের হাতে । কাশ্মীর হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা স্বার্থ কেন্দ্র । পাকিস্থান ১৯৪৭ সাল থেকে ঘোষিত অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে । শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এই যুদ্ধের মীমাংসা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে । দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমান দের জন্যে স্বতন্ত্র পাকিস্থান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ভারতের নিরাপত্তা র প্রধান সমস্যা । পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠী ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে রাষ্ট্র চালাতে শুরু করলেন । পাকিস্থানের কাছ থেকে শুভ বুদ্ধি আশা করা অলীক কল্পনা মাত্র । কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থা কে চিরস্থায়ী ভাবে পঙ্গু করে রাখার চক্রান্ত চলছে । ১৯৪৮ সালে উপজাতি হানাদার দের ছদ্মবেশে পাকসেনা ঢুকিয়ে কাশ্মীরের ১/৪ অংশ জবর করার পর থেকেই পাকিস্থান সীমান্ত বরাবর নিয়মিত গোলা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে । আন্তর্জাতিক সীমানা কে এগিয়ে এনেছে তথাকথিত নিয়ন্ত্রন রেখা বরাবর । আবার এই নিয়ন্ত্রণ রেখাও পরিবর্তন চাই তাই ভারতের দিকে কামানের নল ঘুরিয়ে তাদের খামখেয়ালী বায়না চরিতার্থ করতে চায় । পাকিস্থান সন্ত্রাসবাদী দের কেবল প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে তাই নয় , ও দেশে নিরাপদে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে ঘুরে বেরাচ্ছে । সেখানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ ,অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পাক সরকারের মদতে । ভারতের সাম্প্রতিক শিরঃপিরা বোধ হয় সর্বাধিক এবং ততোধিক কুখ্যাত শব্দ ISI ।
মহম্মদ আলি জিন্নার মস্তিস্ক প্রসুত এই সংস্থা স্থাপনের মুল উদ্দেশ্য শত্রু রাষ্ট্র ভারতে অশান্তি সৃষ্টি করা।
জেনেরাল জিয়া উল হক কাশ্মীরী যুবক দের স্বপ্ন দেখাতেন তোমরা উগ্রপন্থা শুরু কর এবং আমরা আক্রমণ করব । তোমাদের কাশ্মীর স্বাধীন হবে । সেই আই এস আই এর কৌশল হল ১] প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ছোট ছোট বিদ্রোহ সৃষ্টি করা ।২] শ্রীনগর ,গাতপ ,কুপ্যারা বারামুলা প্রভৃতি অঞ্চলে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অস্ত্রাগার ,ও কার্যালয় আক্রমণ ৩] নিজেদের অনুগত লোক দিয়ে পুলিশ ,আর্থিক সংস্থা ,যোগাযোগ কেন্দ্রের ক্ষতি সাধন করা । ৪] ধর্মীয় অছিলায় ভারত বিদ্বেষী মন ভাবের প্রচার ।
দ্বিতীয় পর্যায় ১] ভারতীয় সেনা বাহিনী কে সিয়াচিন ,কারগিল ,এবং পুঞ্চ অঞ্চলে ব্যস্ত রাখতে হবে ।
যাতে তারা উপ তক্যার দিকে নজর দিতে না পারে । ২] আজাদ কাশ্মীরের অবসর প্রাপ্ত সেনা দের নিয়ে এক বিশেষ বাহিনী গঠন করে যারা বেতার কেন্দ্র ,বিমান বন্দর , কার্গিল ,লে , এর রাজপথ ধ্বংস করা । তৃতীয় পর্যায় কাশ্মীর কে ভারত থেকে বিছিন্ন করা ।
পাকিস্থানের তার অপারেশন শুরু করেছে । ভারতের রাষ্ট্র নেতা দের তাদের কাজ শুরু করতে হবে ।
অধিকৃত কাশ্মীর উদ্ধার ও সম্ভব হলে দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিহাসের অবসান করে অখণ্ড ভারত গঠন ।
কার্গিল যুদ্ধ
কাশ্মীরে কারগিল, দ্রাস বাতালিক প্রভৃতি অঞ্চলে পাক সেনাদের মদতে কাশ্মীরি আফগান প্রভৃতি উগ্র পন্থী রা যে সশস্ত্র অনুপ্রবেশ চালিয়েছে তার ফলে সীমান্তে শুরু হয়েছে ভারত পাকিস্থান যুদ্ধ । পাকিস্থান সৃষ্টির পর থেকে ই ১৯৪৭,১৯৬৫,১৯৭১ পরপর তিনবার দুই দেশে মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে আর কাশ্মীর ছিল সংঘাতের বলয়ের মধ্যে । আর এই সংঘাতের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে ।
সাংবিধানিক বিধি অনুসারে কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে সংযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন । সেই অন্তর্ভুক্তি কাশ্মীর কে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করেছে খণ্ডিত ভারতের । কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি অপরিবর্তনীয় এবং এই প্রশ্নে কোন বিতর্ক বা আলোচনা হতে পারে না । বরং দৃঢ় ভাবে পাকিস্থান কে অবিলম্বে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ১৯৪৭ সালের বেআইনি ভাবে এবং বল পূর্বক পাকিস্থান কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা খালি করে দিতে হবে । পাকিস্থানের সৈনিক রা ইউনিফর্ম ছেড়ে কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে । বাধ্য হয়ে মহারাজা হরি সিং ভারত ভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভূত করেন । এবং অঙ্গ রাজ্য কাশ্মীরের রক্ষায় ভারতীয় সেনা বাহিনী শৌর্য ও বীরত্বের সাথে সেদিন কাশ্মীরকে হানাদার মুক্ত করে । কাশ্মীরে যখন ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রায় গোটা রাজ্যকে হানাদার দুশমন দের কবল থেকে মুক্ত করতে চলেছে তখনই লর্ড মাউন ট ব্য টন এর চাপে পড়ে প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহেরু বিষয়টা রাষ্ট্র সঙ্ঘে নিয়ে গেছেন । ফলে দখলীকৃত অংশ রয়ে গেছে পাকিস্থানের হাতে । কাশ্মীর হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা স্বার্থ কেন্দ্র । পাকিস্থান ১৯৪৭ সাল থেকে ঘোষিত অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে । শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এই যুদ্ধের মীমাংসা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে । দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমান দের জন্যে স্বতন্ত্র পাকিস্থান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ভারতের নিরাপত্তা র প্রধান সমস্যা । পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠী ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে রাষ্ট্র চালাতে শুরু করলেন । পাকিস্থানের কাছ থেকে শুভ বুদ্ধি আশা করা অলীক কল্পনা মাত্র । কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থা কে চিরস্থায়ী ভাবে পঙ্গু করে রাখার চক্রান্ত চলছে । ১৯৪৮ সালে উপজাতি হানাদার দের ছদ্মবেশে পাকসেনা ঢুকিয়ে কাশ্মীরের ১/৪ অংশ জবর করার পর থেকেই পাকিস্থান সীমান্ত বরাবর নিয়মিত গোলা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে । আন্তর্জাতিক সীমানা কে এগিয়ে এনেছে তথাকথিত নিয়ন্ত্রন রেখা বরাবর । আবার এই নিয়ন্ত্রণ রেখাও পরিবর্তন চাই তাই ভারতের দিকে কামানের নল ঘুরিয়ে তাদের খামখেয়ালী বায়না চরিতার্থ করতে চায় । পাকিস্থান সন্ত্রাসবাদী দের কেবল প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে তাই নয় , ও দেশে নিরাপদে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে ঘুরে বেরাচ্ছে । সেখানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ ,অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পাক সরকারের মদতে । ভারতের সাম্প্রতিক শিরঃপিরা বোধ হয় সর্বাধিক এবং ততোধিক কুখ্যাত শব্দ ISI ।
মহম্মদ আলি জিন্নার মস্তিস্ক প্রসুত এই সংস্থা স্থাপনের মুল উদ্দেশ্য শত্রু রাষ্ট্র ভারতে অশান্তি সৃষ্টি করা।
জেনেরাল জিয়া উল হক কাশ্মীরী যুবক দের স্বপ্ন দেখাতেন তোমরা উগ্রপন্থা শুরু কর এবং আমরা আক্রমণ করব । তোমাদের কাশ্মীর স্বাধীন হবে । সেই আই এস আই এর কৌশল হল ১] প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ছোট ছোট বিদ্রোহ সৃষ্টি করা ।২] শ্রীনগর ,গাতপ ,কুপ্যারা বারামুলা প্রভৃতি অঞ্চলে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অস্ত্রাগার ,ও কার্যালয় আক্রমণ ৩] নিজেদের অনুগত লোক দিয়ে পুলিশ ,আর্থিক সংস্থা ,যোগাযোগ কেন্দ্রের ক্ষতি সাধন করা । ৪] ধর্মীয় অছিলায় ভারত বিদ্বেষী মন ভাবের প্রচার ।
দ্বিতীয় পর্যায় ১] ভারতীয় সেনা বাহিনী কে সিয়াচিন ,কারগিল ,এবং পুঞ্চ অঞ্চলে ব্যস্ত রাখতে হবে ।
যাতে তারা উপ তক্যার দিকে নজর দিতে না পারে । ২] আজাদ কাশ্মীরের অবসর প্রাপ্ত সেনা দের নিয়ে এক বিশেষ বাহিনী গঠন করে যারা বেতার কেন্দ্র ,বিমান বন্দর , কার্গিল ,লে , এর রাজপথ ধ্বংস করা । তৃতীয় পর্যায় কাশ্মীর কে ভারত থেকে বিছিন্ন করা ।
পাকিস্থানের তার অপারেশন শুরু করেছে । ভারতের রাষ্ট্র নেতা দের তাদের কাজ শুরু করতে হবে ।
অধিকৃত কাশ্মীর উদ্ধার ও সম্ভব হলে দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিহাসের অবসান করে অখণ্ড ভারত গঠন ।
কার্গিল যুদ্ধ