Saturday, November 28, 2015

দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর ।

{এই লেখাটি আগামী দিন পত্রিকা তে ৪/৩ /১৯৯৪ প্রকাশিত আনিরুদ্ধ উপাধ্যায় ছদ্ম নামে । কমিউনিস্ট পারটি ছাড়ার পর প্রিন্ট মিডিয়াতে আমার এই লেখাটি  লিখি । সেদিন এই লেখা মারাত্বক বিতর্ক তুলে ছিল }

অমৃতসর চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৮৪৬ সালে । এই চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশ সরকার গুলাব সিং য়ের হাতে গিল গিট সহ জম্বূ ও কাশ্মীর অর্পণ করেন । গুলাব সিং নিজেকে মহারাজা রণজিৎ সিং এর বংশধর বলে দাবি করেন । এক কোটি টাকার উপঢৌকনের বিনিময়ে হস্তান্তর ঘটে । মহারাজা রণজিৎ সিং মোঘল সম্রাট দের কাছ থেকে ১৮১৯ সালে খৃস্টাব্দে জম্বূ ও কাশ্মীর হস্তগত করেন । তার বংশ ধর রা ১৮৪৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করে । ১৮৪৬ সালেই অমৃত সর চুক্তির ফলে কাশ্মীর রাজ্য ব্রিটিশ  নিয়ন্ত্রিত রাজ্য হিসাবে বিচ্ছিন্ন হয় । পরবর্তী কালে রণধীর সিং পরে গুলাব সিং এর পুত্র প্রতাপ সিং এবং তারপর মহারাজা হরি সিং কাশ্মীর রাজ্যে রাজা ছিলেন । ডঃ করণ সিং মহারাজা হরি সিং এর পুত্র । এই হল অতীত কাশ্মীরের ইতিহাস ।
ব্রিটিশ শাসনের প্রতক্ষ্য শাসনাধীন ভারত ও দেশি নৃপতি গনের অধীন শাসিত রাজ্য নিয়েই ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত বর্ষ । মহাযোগী অরবিন্দের কাছে এই ভুমি জগত জননী র জীবন্ত অভিমুরতি । ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র তার অমর সঙ্গীতে তার বন্দনা করেছেন । সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রিয় ও পবিত্র ভারতভুমি যার নাম শুনে আমাদের হৃদয় ভরে উঠে । এটাই তো দেশ প্রেম ধূর্ত ব্রিটিশ শাসক আমরা যাতে দেশপ্রেম ভুলে যেতে পারি তারজন্যে সাধারনের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে নানা বিভ্রান্তিকর ধারনার বিস্তার করে ছিল যাতে দেশের অখণ্ডতা অবিভাজ্য মূর্তির প্রতি যাতে দেশপ্রেম ও কর্তব্যের পুজা না করতে পারে ।
প্রাচীন কালে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বলতেন ।

       উত্তর ং যত সমুদ্র স্য হিমাদেশ্বইব্য দক্ষিণ ম , বর্ষ ং তদ ভারত ং নাম ভারতী যত্র সন্ততি ।
স্বামী বিবেকান্দের পুন্যভুমি । মাতৃ ভুমি জড় বস্তু নয় ,দেশটা শুধু পাথর আর মাটি নয় । দেশ বিকশিত মাতৃ মূর্তি । মাতৃভূমি র প্রতি অগ্নিময় ও বীরত্ব পূর্ণ ভক্তি ভাব না থাকার কারনে দেশ বিভাগ সম্ভব হয়েছে । মাতৃ ভুমির পবিত্র অখণ্ডতার জন্যে অটল সঙ্কল্প নিয়ে লড়াই করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি ।
জাতীয় নেতা রা শেষ বিন্দু  রক্ত দিয়ে দেশ ভাগ আটকানো র পরিবর্তে মেনে নিয়েছে ।
দেশ ভাগের চূড়ান্ত নিস্পত্তি এখন হয় নি ঘটনা প্রবাহ তাই প্রমান করে ।
বেঞ্জির ভুটু র পাকিস্তান জঙ্গি দের প্রতি সমর্থন মার্কিন স্ম্রাজ্যের অবস্থান ও বিল ক্লিনটন সাম্প্রতিক মন্তব্য ।
স্বাভাবিক ভাবে পাল্টা এ প্রশ্ন ও উঠতে বাধ্য মুসলমান দের আত্ম নিয়ন্ত্রনের দাবী বা পাকিস্থান সৃষ্টি র সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা ? পাকিস্থান সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের একটি সৃষ্টি মাত্র । স্মরণাতীত কাল থেকে এই এলাকাগুলি আমাদের মাতৃভূমির অখণ্ড অংশ রুপে বিরাজিত ।
লাহোরের পুন্য ইরাবতী তটেই জওহর লাল নেহেরুর সভাপতি ত্তে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার শপথ গ্রহণ করে ছিল । অতএব সেই লাহোরে আমাদের পতাকা করাকে অপরের ভুমি দখলের ইচ্ছে বলে কেমন করে অবহিত করা যায় ? 
আমাদের স্বাধীনতা তখনই সফল হবে যতক্ষণ অখণ্ড ভারত ভুমি মুক্ত করতে পারবো ।খণ্ডিত দেহ নিয়ে মা পুত্রের মুখের দিকে মায়ের প্রকৃত সন্তান কেমন করে ভুলে যাবে ।
যারা দেশ বিভাগের সমর্থনে যুক্তি দেখাবেন ,বলবেন "হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই " ।দেশ বিভাগ সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা র মত ।
তাকে এ প্রশ্নের অবশ্যই উত্তর দিতে হবে যে মাকে সাধারন সম্পত্তি হিসাবে তার সন্তানেরা কেটে খণ্ড খণ্ড করে ভাগ করেছে ? মাতৃ ভুমি যেন পণ্য বস্তু হয়ে পড়েছে । এটা ভোগের ভুমি ,সে আমার কাছে পুন্য ভুমি নয় । দেশের কোটি কোটি মা ও ভাই বোনের পিচাশ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে খণ্ড খণ্ড করার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল ,আজও অব্যাহত আছে । কাশ্মীর তার জলন্ত প্রমান ।
" একমাত্র আমার বুকের উপর দিয়েই দেশ ভাগ সম্ভব " মহাত্মা গান্ধির প্রতিশ্রুতি ।
জও  হর লালের ক্ষমতা লাভের লোভ আর মহ ন্মদ আলি জিন্নার উচাকাঙ্খা আর এদেশের কমিউনিস্ট  দের " pakistan is just deamand for the Muslim home land "  শহিদ মিনারে সভায় তারা দাবি তুলেছিল পাকিস্থানের দাবি মানতে হবে তবে ভারত স্বাধিন হবে । মহাত্মা গান্ধী তার প্রতিজ্ঞা বজায় রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত তিনি দেশ ভাগের স ন্মতি দিয়ে ছিলেন । সেদিন সীমান্ত গান্ধী কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন "গান্ধীজী আমাদের নেকড়ের মুখে ছুঁড়ে দিলেন "
আর প্রধান মন্ত্রী র চেয়ারে বসে নেহেরু বললেন " আমরা তখন ভীষণ শ্রান্ত ক্লান্ত । ন্তুন করে জেলে যাবার জন্য আমরা মানসিক ভাবে প্রস্তত ছিলাম না ।"
ইতিহাসের হিসেব নিকেশ পরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা দেখব সেদিন যে ভুল করেছি তা সংশোধন করা জরুরী । আজ এই বিষয় নিয়ে ভাবা জ্রুরি । স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে অটল জী ভাবতেন ।
১৯৪৭,৬৫,৭১ সালে যুদ্ধে হাজার হাজার দেশপ্রেমিক যোদ্ধাদের রক্ত পাতের বিনিময়ে কাশ্মীর কে ভারতে যোগদান সম্পন্ন ও রক্ষিত হয়েছে । কাশ্মীর নিয়ে চক্রান্ত কারী রা নূতন ভাবে ভাবতে শুরু করেছে । আমাদের দিক থেকে সাং বিধানিক বিধি নিয়ম অনুযায়ী , যে সময় থেকে কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং সেখানকার জনপ্রতিনিধি মূলক সংগঠন জাতীয় কনফারেন্স তাকে সম্পূর্ণ ভাবে অনুমদন করে  তখনি কাশ্মীর ভারতভুক্তি কাজ সম্পন্ন ।
কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি অপরিবর্তনীয় এবং এ প্রশ্নে কোন বিতর্ক বা আলোচনা চলতে পারে না ।এই সমস্ত শক্তিকে দৃঢ় ভাবে ১৯৪৭ সাল থেকে বে আইনি ভাবে এবং বলপূর্বক পাকিস্থান কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা খালি করে দেওয়া । আমাদের অন্য কোন আলোচনা তে যাবার প্রয়োজন নেই । রাষ্ট্র সঙ্ঘ পাকিস্থানের অনুপ্রবেশ  জঙ্গি পাঠানো বন্দ করতে ব্যর্থ । বিদেশী শক্তি গুলি কে পুনরায় ক্ষমতার রাজনীতি নোংরা খেলা বন্দ করতে হবে । নরেন্দ্র মোদী সারা দুনিয়াতে সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র নেতা দের সচেতন করার ফলে পরিস্থিতি র পরিবর্তন হচ্ছে । কারন আমাদের জওয়ান দের সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ কে আমরা অব হেলা বা পদ দলিত করা যাবে না ।
তাস খণ্ডে আলোচনাতে আমরা দেখেছি সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ কারি আর আক্রান্ত কে একী পর্যায়ে ফেলা হয়েছিল । আলোচনায় কোন কাজ হবে না যতদিন পাকিস্থান কাশ্মীর কে ভারতের অবিচ্ছেদ অংশ  হিসাবে স্বীকার করছে । ততদিন সমস্ত আলোচনা বন্ধ থাক ।পাকিস্থানের পক্ষ থেকে ভারত আক্রমণের আশংকা এখন শেষ হয়ে যায় নি । পাকিস্থান ন্তুন অস্ত্র ,সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করছে ।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় আলোচনা জরুরী যে সমস্ত ধর্মাবলম্বী একমাত্র পয়গম্বর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ ,এক ঈশ্বর ছারা মানব আত্মার মোক্ষ লাভের কোন পথ নেই একথা যারা বিশ্বাস করে এরাই বিশ্বে  অসহনশীল তার জন্ম দেয় । ধর্মের মানুষ কে বিভক্ত করে । মুসলিম দের স্বত্ন্র রাষ্ট্র  অর্থাৎ পাকিস্থান সৃষ্টি তার জ্বলন্ত প্রমান । পাকিস্থান সৃষ্টি র সিদ্ধান্ত টি সঠিক ইতিহাসের আলোয় পর্যালোচনা করা অবশই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ।
ব্রিটিশ রা ভারত ত্যাগ করার দেশকে খণ্ড খণ্ড করে দেবার চক্রান্তে লিপ্ত হয় । পরিশেষে ভারত, পাকিস্থান, দেশীয় নৃপতি দের শাসিত রাজ্য গুলি সম্পর্কে কিছু শাসন তান্রিক ঘোষণা করে । দেশীয় রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে তারা মারাত্মক কৌশল করে গেলেন । এই রাজ্য গুলি নিজ নিজ রাজার অধীনে থাকবে । ভারতবর্ষ কে খণ্ড খণ্ড করে দেবার চক্রান্ত করেছিল ব্রিটিশ রা ।
ইতিহাসের এই  সময় সর্দার বল্লভ ভাই কে স্মরণ করবে চিরদিন ভারতভুমি ।আজ একথা অস্বীকার করা যাবে না তার প্রদর্শিত জ্ঞান, লক্ষ্য দৃঢ়টা সেদিন আমাদের এই খণ্ডিত ভারতবর্ষ কে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন । আগামী দিনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল মুল্যায়ন হবে । ভারতীয় জনতা পার্টি র সরকার বর্তমান প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সেই কাজ শুরু করেছে ।
মহারাজা হরি সিং দৃঢ় চেতা ব্যক্তি ছিলেন না । তিনি স্থির করতে পারছিলেন না কোন পক্ষে যোগ দেবেন ভারতে না পাকিস্থানে । তিনি ভারত আর পাকিস্থানের সাথে শুধু আলোচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন । মহারাজা হরি সিং এর মনস্থির করার অভাবের ফলে পাকিস্থান কাশ্মীর বিতর্কে ঢুকে পড়ে । এই রাজ্যে ১৯৩২ সাল থেকে  রাজনৈতিক কাজ কর্মের ধারা  বিকশিত হচ্ছিল সেই ধারা থেকে উঠে আসে শেখ আব্দুল্লা । ভারত না পাকিস্থান এই সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা  মহারাজা হরি সিং এর থাকলেও  জনমতের উপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল না ।  শেখ আবদুল্লা মহারাজাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করার সংগ্রামে লিপ্ত থাকলেও তিনি পাকিস্থানের সঙ্গে কাশ্মীর যাক এটা তিনি চাইতেন না ।এই রকম পরিস্থিতি তে পাকিস্থান কাশ্মীর আক্রমণ করে ।১৯৪৮ সালে ২২ অক্টোবর উপজাতি হানাদার সেজে পাকিস্থানের নিয়মিত বাহিনী হানাদার সেজে কাশ্মীর অভিযান করে । বাধ্য হয়ে মহারাজা হরি সিং জরুরী বার্তা পাঠান মাউন ট বাটেন এ র কাছে তিনি নিঃ শর্তে ভারতে যোগ দিতে ইচ্ছুক । ইতিহাস বলবে সেদিন ভারত সরকার কাশ্মীরের জন্য হা পিত্যেশ করেনি যে কাশ্মীর ভারত ভুক্ত হোক । বরং মহারাজা হরি সিং করুন আবেদন করেছিলেন "অনুগ্রহ করে আপনাদের সৈন্য পাঠিয়ে আমাদের রক্ষা করুন ।আমরা অগ্নি সংযোগ ,ধর্ষণ্‌ , ও বিধবংসের শিকার হয়েছি । "
শেখ আবদুল্লা র সম্মতিতে মহারাজা হরি সিং কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি সিদ্ধান্ত নিলেন । শেখ আবদুল্লা তাকে সমর্থন করলেন । এই সমস্ত দলিল দস্তাবেজ ভারত সরকারের কাছে আছে । এবং রাষ্ট্র সঙ্ঘের দরবারে সমস্ত লিপিবদ্ধ আছে । সেদিন রাষ্ট্র সঙ্ঘে যেতে চাইনি কারন কাশ্মীরের জনমত তাদের পক্ষে ছিল না । কাশ্মীরিরা ছিল ভারতে যোগ দানের পক্ষে । 
রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এ পর্যন্ত যতরকম দার্শনিক মতবাদ আছে তার মধ্যে সর্বজন স্বীকৃত হল রাষ্ট্রের জন্য প্রথম দরকার অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড এবং এই ভূখণ্ডে বসবাস করেন যে সমস্ত মানুষ তাদের মনের মধ্যে মাতৃভূমি হিসাবে নিজেদের পরিচালন ,নিরাপত্তা ও সম বৃদ্ধি র স্থান হিসাবে সেই ভূখণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা ভাব । তাদের জীবনাদর্শ সং স্কিতি অনুভুতি , আবেগ ,বিশ্বাস ওঐ তিহ্যের সম্মেলনে তাদের জীবন ধারা গড়ে উঠবে ।
জনগণের মনে আমাদের মাতৃ ভুমির সজীব ও পুরনাংগ রুপ চির উজ্জল রাখতে এবং তার দেবি সত্তাকে ভক্তি রুপে জাগ্রত রাখার মহান কর্তব্য আমাদের সামনে। মাতৃ ভুমির পবিত্রতা ও অখণ্ডতা রক্ষা জন্যে আরও প্রয়োজনে আরও রক্ত দিতে হতে পারে । ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি তে বিচার নয় বরং এদেশের শত্রু দের সাথে একাত্মতা বোধ মনোভাব নিয়ে যারা চলেছেন ,বিদেশের ভুমিকে নিজেদের পবিত্র ভুমি কে নিজেদের পবিত্র ভুমি যারা মনে করেন । মানসিক ভাবে দেশের শত্রু দের সাথে নিজেদের একাত্মবোধ মনে করেন । নিজেদের মাতৃ ভুমি কে সংকটে ফেলার চক্রান্ত যারা করছে । এই সমস্ত রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিকে চিনহিত করতে হবে । ১৯৪৭ সালে এই সমস্ত রাষ্ট্র দ্রোহী র কাছে আমরা রনে ভঙ্গ দিয়ে দেশ বিভাগের নিন্দনীয় ইতি টেনে স্বাধীনতার  গৌরব জনক লড়াই ও আমাদের সমস্ত অধিকার কে জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের ই দেশের বিরাট অংশে তাদের আধিপত্য কে নীরবে মেনে নিয়েছি । দেশের দুটি  তারা প্রভুত্ব করার সাথে সাথে বর্তমানে আমাদের দেশের অবশিষ্ট অংশটি জিতে নেবার মতলব আঁটছে । দেশের মধ্যে পঞ্চম বাহিনী সক্রিয় ।
আজ আক্রমণ কারী র কাছে দুটি পর্ব আছে । উভয় পথে ই এই সচেত না থাকে যে সে আক্রমণকারী ও শত্রু ভাবাপন্ন । আমাদের সরলতা অথবা এস মিটিয়ে নিই । উভয় মনোভাবের মধ্যে আক্রমণকারী র  বাস্তব উপস্থিতি বর্তমান । ভয়ের কারনে সন্তুষ্ট বিধানের নামে উদারমনা বা ধর্ম নিরপেক্ষ ইত্যাদি ছদ্ম আচরণ বর্জন করতে হবে জাতীয় নেতাদের । ব্যক্তিগত আদর্শ ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন এক অ ভিন্ন জাতীয় আদর্শের প্রতি আসক্তিই হল জাতীয় সং হতি ও সম্প্রীতি র বাস্তব ও চিরন্তন কেন্দ্র বিন্দু   ।
প্রশ্ন এখানে ,পাকিস্থান সমর্থকেরা কি সবাই এদেশ থেকে চলে গেছে । এখনও অনেকে আছেন যারা পাকিস্থান কে সমর্থন করেন । পাকিস্থান সৃষ্টি র পর রাতারাতি সব দেশ ভক্ত বনে গেছে এই বিশ্বাস হবে নিজেদের ঠকানো ও আত্মহত্যার সামিল । পাকিস্থানের তাদের আক্রমণ কৌশল বরাবর দু মুখো ।একটি সরাসরি সংগ্রাম ,আক্রমণ । জিন্নার প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ।
আমদের নেতারা যারা দেশভাগের অন্যতম শরিক তারা এই দুঃসহ ঘটনাকে " ভাইয়ের সাথে ভায়ের ভাগ বাটোয়ারা " ।ইত্যাদি বলে চুন কাম করার চেষ্টা করলেও নগ্ন সত্য যে আমাদের মাতৃ ভুমিকে কেটে একটি জঙ্গি ইসলামী বার করা হয়েছে ।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক আর্নল্ড ত্যেনবি র ভাসায়" এই দেশ সম্পূর্ণ পদানত রাখার স্বপ্ন মুসলমানরা দেখে আসছে বিংশ শতাব্দী তে পাকিস্থান সৃষ্টি ই হল তাদের স্বপ্ন রুপায়নের প্রথম সফল পদক্ষেপ ।"
আজকে এ প্রশ্ন আসা উচিত ব্যক্তির আনুগত্য দেশের বাইরে অন্যত্র কেন্দ্রিত তাকে আমরা দেশদ্রোহী বলি । তাহলে কোণ ব্যক্তি যদি দেশের বাইরের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে সেতা কি দেশের প্রতি আনুগত্যের আরও বেশি অভাব তথা দেশদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে না কেন ?

।বি দ্র ঃ দুই একটি আপডেট করা হয়েছে ।




                                             India Pak war 1965

                                           


No comments:

Post a Comment