Thursday, December 10, 2015

জ্যোতি বসু আর বাংলা রাজনীতি

একদিন যার ডাক শুনে বাংলার মানুষ কমিউনিস্ট পার্টি {মার্ক্সবাদী } রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়ে ছিল সেই জ্যোতি বসু সম্পর্কে কিছু কথা বলা দরকার । কোন কমিউনিস্ট জাতীয় স্তরে এত পরিচিতি ও তার মতামত এত গুরত্ব পায়নি যা জ্যোতি বসু পেয়েছে ।


জ্যোতি বসুর জন্ম শত বর্ষে আমি তার জীবনের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করতে চাই । তার রাজনীতি মুলতঃ পশ্চিম বঙ্গ ভিত্তিক হলেও তার খ্যাতি  প্রভাব ও পরিচিতি ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এমন কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্যোতি বসু একটি পরিচিত নাম । টানা চার দশক বাংলার জননায়কের আসনে প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিরল ঘটনা ।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতাদের পটভূমিকা যদি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে , অধিকাংশ পয়সা বালা ঘরের সন্তান । কেউ বাবার জোরে ,কেউ মামার জোরে কেউ পিতামহ মাতামহের দৌলতে নেতৃত্ব পেয়েছেন । আবার কেউ পয়সার জোরে নেতা হয়েছেন । জও হর লাল নেহেরু বাবা মতিলাল নেহেরু ছিলেন  বিরাট ধনী । নিজে ও কংগ্রেস ছিলেন । পিতার ছত্রছায়ার কংগ্রেসে ঢুকে অদ্বিতীয় নেতা হয় । তার পিছনে বাবার জোর ছিল । ইন্দ্রিরা গান্ধী তো নিছক বাবার জোরে ,বাবার নামে রাজনীতিতে ঢুকে ছিলেন । যদিও ইন্দ্রিরা গান্ধী নিজের ইতিহাস নিজে সৃষ্টি করে ছিলেন । যোগ্য নেতা হিসাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন । তারপর রাজীব গান্ধী এক মাত্র যোগ্যতা নেহেরু দৌহিত্র ,ইন্দ্রিরা গান্ধির ছেলে । সোনিয়া গান্ধী যার পরিচয় ইন্দ্রিরা গান্ধির পুত্র বধূ ।
জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বাবা তার বাড়িটা পর্যন্ত ছেলে কে দিয়ে যায় নি ।বড় দাদা ডাক্তার ছিলেন ।জলপাইগুড়ির ধনী রায় কত পরিবারের জামাই । আত্মীয় পরিজন সবাই উপর তলার মানুষ । স্বচ্ছল মানুষ ওরা । ব্যতিক্রম শুধু জ্যোতি বসু । একটা প্রসঙ্গ জ্যোতি বসুর প্রতি বিধান রায়ের যে দুর্বলতা ছিল তেমনি জ্যোতি বসুর দুর্বলতা ছিল । রাইটার্স বিল্ডিং এর সামনে যে ডাঃ বিধান রায়ের যে পুরনায়ব মূর্তি টি আছে জ্যোতি বসুর বামফ্রন্ট সরকারই প্রতিষ্ঠা করেছেন । কোন কংগ্রেস সরকার এইকাজ করেনি । তার পর প্রফুল্ল সেন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকার ছিল তারা এইকাজ করেনি । এরা বিধান রায় সম্পর্কে যা ভাবেননি জ্যোতি বসু তা করে দেখিয়েছেন । বিধান রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে জ্যোতি বসু বিধান রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন । এখানে তা র বৈশিষ্ট । ১৯৬২ সালে চীন আক্রমণের সময় প্রফুল্ল সেন অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতাদের জেলে পুড়েন । মু জাফর আহমেদ ,প্রমোদ দাসগুপ্ত , বিনয় চৌ ধুরি সরোজ মুখারজি কে গ্রেপ্তার করে বিনাবিচারে আটক রাখেন । এর মধ্যে বিনয় চৌধুরী জেল থেকে নির্বাচনে জেতেন । প্রফুল্ল সেন আর অতুল্য ঘোষের নির্যাতন ও অপপ্রচার রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তি শালি করে । সেদিন পুলিশের হাতে পশ্চিম বঙ্গ কে তুলে দিয়ে মহা উল্লাসে টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন আর গ্রেপ্তারি  ফাইল সই করছিলেন । বাইরে থেকে দেখলে জ্যোতি বসুকে বেশ রাশভারি এবং দাম্ভিক মনে হয় । এই বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ ধুতি পাঞ্জাবি পড়া মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলে বোঝা যেত তিনি কত সাধাসিধে মানুষ মালদহ আর দুরগাপুরের রাজনৈতিক জীবনে আমি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছি । খাদ্য আন্দোলন ,উদ্বাস্তু আন্দোলন ,ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালি হয়েছে । উত্তাল হয়েছে ।
১৯৬৭ তে নয় মাস ১৯৬৯ সালে তেরো মাস এই অল্প সময়ে যুক্তফ্রন্ট সরকার লক্ষ লক্ষ একর জমি কৃষকের হাতে তুলে দিলেও ১৯৭০ সালে ওই সব জমিদার ভূস্বামী তাদের হাত থেকে ঐ জমিগুলি কেড়ে নেয় । ১৯৭৭ সালে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে তখন কৃষক সভার সাহায্যে কৃষকদের সমস্যা ও গ্রাম উন্নয়নের কর্মসূচী গ্রহণ করে ।
অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বারদি গ্রামে এক উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান । ঐ গ্রামে মাতুলালয় তাদের বিত্ত আর প্রতিপত্তি অনেক বেশি । জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালে ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারি সন রোডে র এক বাড়িতে । শিক্ষা শুরুতে ল্ররেট থেকে সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ । সেখান থেকে বিলেতে গেলেন আই সি এস হওয়ার জন্যে পিতার স্বপ্ন পুরনের জন্যে না হলে ব্যরি স্টার  । উচ্চবিত্ত এবং অভিজাত শ্রেনির পিতার আশা পুরন হল না । জ্যোতি বসু আই সি এস হতে পারলেন না । বিলেতগামি সব বড় লোকের সন্তানের মতই রজনিকান্ত দত্ত হ্যারি পলিত প্রভৃতি কমিউনিস্ট ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা দের পাল্লায় পড়ে শ্রেণীচ্যুত না হয়েও সাম্যবাদী হয়ে উঠলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফিরে তৎকালীন বে আইনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফেরার পর ১৯৪১ সালে হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করলো ।  দেশ বিদেশের কমিউনিস্ট দের কাছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জনযুদ্ধে পরিণত হয় । তাই ভারতের কমিউনিস্ট দের কাছে অন্যান্য দেশের কমিউনিস্ট দের মত ফ্যাসিবাদী হিটলার কে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকলে ও সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ কে প্রাণপণ সাহায্য করতে লাগল । কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনীতি শক্তি যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ দের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেও কমিউনিস্টরা ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের ফ্যাসিস্ত অনুচর আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ যুদ্ধ প্ররোচনা কে সাহায্য করতে লাগল । তার বিনিময়ে কমিউনিস্ট পার্টী আইনি ঘোষিত করা হল ব্রিটিশ সরকার দ্বারা । অন্যদিকে কংগ্রেস ও অন্যান্য দের তারা গ্রেপ্তার করল ।
কমিউনিস্টরা খোলা ময়দানে সাম্রাজ্যবাদী শাসক ব্রিটিশ  দের প্রত্যক্ষ বা পররিবারেরয়তায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী  সংগ্রাম চালাতে লাগলেন । ভারতভুমিতে এই সংগ্রাম এর অর্থ দাঁড়ালো সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের  যুদ্ধ কে সাহায্য করা । কমিউনিস্টরা প্রকাশ্য রাজনীতি করার সব সুযোগ পেলেন । কাজেই  সামনে পথ প্রসস্থ হল । 
জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক উথানের কথা আলোচনা করতে তৎকালীন রাজনীতির কথা বললাম .। অভিজাত পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জ্যোতি বসু র  জননায়ক জ্যোতি বসু তে রূপান্তরিত হলেন ।
১৯৪০ শে দেশে ফেরার পর এক বছর ১৯৪১ সালে কমিউনিস্ট  আইনি পার্টী তে রুপ নেবার  এই পার্টিতে একবছর বে আইনি পার্টির প্রকাশ্য নেতা হিসাবে কাজ করেছে  অন্যদিকে বহু কমিউনিস্ট নেতাকে বছরের বছর জেলে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে । গরিব বস্তিতে বা শ্রমিক বস্তিতে তাকে রাত কাটাতে হয় নি । সৌভাগ্য জ্যোতি বসুকে সাহায্য করেছে জ্যোতি বসুকে দেশের নেতা হতে তাকে এই ক্লেশ সহ্য করতে হয়নি । বিলেত থেকে কমিউনিস্ট হয়ে আসার জন্য কোন রকম শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করতে হয়নি । সোভিয়েত  রাশিয়া অনুগামী লেখক শিল্পী সহ নানা ধরনের সুবিধাভোগী লোক দের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে  ত ত্ব গত ভাবে কমিউনিস্ট  জননায়ক হলেন জ্যোতি বসু ।

কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রথম ভাঙন , তেনালি কনভেনশন

১৯৬৪ এপ্রিল মাসে ভারত রক্ষা আইনে আটক অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতা বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেলেন । এদের মধ্যে ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টীর জাতীয় পরিষদের সদস্য । চীন ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে ১৯৬২ সালে নভেম্বর মাস থেকে ভারত সরকার ভারত রক্ষা আইনে বিনা বিচারে শত শত কমিউনিস্টকে জেলে বন্দী করে । ভারত সরকার আটকে বিভেদ নীতি গ্রহণ করে ছিল । এই বিভেদ নীতি কার্যকর করতে মান দণ্ড ছিল চীন ও রাশিয়া পন্থী লেভেল অথবা জাতীয় পরিষদের সংখ্যা  গরিষ্ঠ পন্থী দের বিরোধী দের দীর্ঘ দিন জেলে আটকে রেখেছিল ।
১৯৫৮ সালে অমৃতসর শহরে পার্টি কংগ্রেসে ন্তুন গঠন তন্ত্র গ্রহণ করা হয় । এই গঠন তন্ত্র অনুসারে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সর্ব উচ্চ জায়গা পি বি র হাতে তুলে দেওয়া হয় । চালু হয় ত্রি স্তর ব্যবস্থা ।
জাতীয় পরিষদ , কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলী , কেন্দ্রীয় কার্যকারী সমিতি ।
জাতীয় পরিষদ থেকে ৩২ জন সদস্য ওয়াক আউট করে সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তার ভিত্তিতে তাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয় ।
বিবৃতি টির মুল বক্তব্য " আমরা সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি , ডাঙ্গে এবং তার সমর্থক দের বিভেদ মূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ও তাদের সংস্কার বাদী লাইনের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অবিচ্ছেদ অংশ । পার্টীর সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য এবং পার্টি ইউনিট গুলির নিকট আমাদের আহ্বান ডাঙ্গে আর তার গোষ্ঠীকে অস্বীকার করুন । কংগ্রেসের সাথে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের তাদের সংস্কার বাদী লাইন কে অস্বীকার করুন ।"
সংস্কার বাদী এই রাজনৈতিক লাইন নিয়ে মতবিরোধ দীর্ঘ দিনের । এই ৩২ জন নেতা পরবর্তী কালে সি পি আই এম দলের প্রতিষ্ঠাতা । এই রুপ পটভূমিকাতে ১৯৬৪ সালে ৭ই জুলাই থেকে ১১ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশে তেনালি তে বহু খ্যাত তেনালি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে ১৪৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন । রাজ্য অনুসারে আসাম ৫ দিল্লি ১ তামিলনাদু ২০ গুজরাট ১ জম্মু কাশ্মীর ২ বিহার ৭ মধ্য প্রদেশ ৩ অন্ধ্র ২৩ পশ্চিম বঙ্গ ২৩ পাঞ্জাব ৭ রাজস্থান ৪ মহারাষ্ট্র ১০ উত্তর প্রদেশ ১০ হিমাচল প্রদেশ ১ মহীশুর ৪ উড়িষ্যা ২ কেরলা ২০ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৩ জন ।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুজ ফর আহমেদের পতাকা উত্তলনের পর কনভেনশনের কাজ শুরু হয় । এই কনভেনশন পরিচালনা করে ছিলেন এ কে গো পালন ,জ্যোতি বসু  ও শিব ভারমা । বি টি রন দিভে জেলে বন্দি থাকার কারনে এই কনভেনশনে যোগ দিতে পারে নি ।
এই কংগ্রেসে পার্টি কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয় । কর্মসূচী নিয়ে যে খসড়া পেশ করা হল তার সাথে ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ একমত ছিলেন না ।
১৯৬৪ সালে ৩১ শে অক্টোবর থেকে ৭ই নভেম্বর ত্যাগ রাজ হলে জন্ম নিল আরেক পার্টি যারা ঘোষণা করল "THE SEVENTH CONGRES OF THE COMMIUNIST PARTY OF INDIA DECLEARS THAT THE DELIGATRS ASSEMBLED HERE ARE THE TRUE REPRESENTATIVES OF THE COMMIUNIST PARTY OF INDIA AND DANGE GROUP HAS NO RIGHT TO CALL ITSELF THE C.P.I ."

Wednesday, December 9, 2015



আমাদের বিদেশ সুষমা স্বরাজ ইসলামাবাদ । শরীফের সাথে আলোচনা ।


ভারতের শান্তি বার্তা ।

এগিয়ে চলা

রাজ্য রাজনীতির দু একটি প্রসঙ্গ ।

৩৪ বছর একটানা বামফ্রন্টের নামে সি পি এম টানা ক্ষমতায় । কত শাখা প্রশাখা ,কত তাদের দলীয় সিস্টেম সেই বাম রাজত্ব কে থেকে উৎখাত করা সম্ভব একথা ভুলতে বসেছিল । আজ ক্ষমতার বাইরে থাকার কথা ভাবতে পারে না । আজ সি পি এম কে তাদের সংগঠনের ভুল কি , কারা সেই ভুল করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে । কমিউনিস্ট পার্টী গুলি কে গণতান্ত্রিক পার্টী রুপান্ত্রিত হতে হবে । ১৯৭৭ সালে বামপন্থী বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় বসে আর তখন থেকে সিপি এমের মধ্যে প্রথম কিছু ভালো কাজ দ্বিতীয় প্রক্রিয়া দলীয় আধিপত্য কায়েমের কাজ । যত দিন গেছে প্রথম প্রক্রিয়া দুর্বল হয়েছে ।
দলীয় আধিপত্যের  পথ ধরে দলে অনিবার্য ভাবে দলে আবির্ভাব ঘটেছে দলীয় মাতবরদের । এরা দল বোঝে আদর্শ বোঝে না । দলীয় নির্দেশ মানেন , জনসাধারণের সাথে আলোচনার প্রয়োজন মনে করে না । এরাই দলীয় মুখ এরাই ক্ষমতার প্রসাদ বিতরণ করতেন আর নির্বাচনে ভোট ম্যানাজার এরা । জনসাধারণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে বল দর্পী এক শাসন স্থাপন করে ছিল এরাজ্যে কমিউনিস্ট রা । পরিণামে যা হবার তাই হয়েছে রাজ্যে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে । নেতা আর মাতবর এক নয় । নেতার কাজ হল কর্মী দের পথ নির্দেশ কর্মী দের তথা মানুষের চেতনার মান তৈরি করা । তাদের কাজের মুল্যায়ন করা , তদারকি করা ,পরামর্শ দেওয়া ও তার ব্যক্তি জীবনের সমস্যা গুলি শোনা , সমাধানে সাহায্য করা । 
মাতবরেরা এসবের কোন ধার ধারেন না । নিজের মর্জি তে চলেন ।
এরা আদর্শের ফসল নয় ক্ষমতার ফসল । তাই পালা বদলের পর এই মাতবররা জার্সি পাল্টে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তাদের মুল স্তম্ভ হয়েছে । এরাই সবচেয়ে আক্রামক ,সক্রিয় সব চেয়ে হিংস্র । কান ধরে আনতে বললে এরা এরা মুণ্ডু কেটে আনতে পারে । 
বোঝা আধিপত্য বাদের পথ ধরে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিক তা র নামে কেন্দ্রিক তার পরি চর্চা করেছে । আর এই পথে দিয়ে প্রবেশ করেছে মাতব্বরির কাল সাপ । আসলে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গী র প্রশ্ন বামপন্থী চিন্তায় আছে স্ববিরধিতা ।
জনগণই ইতিহাসের চালিকা শক্তি  আবার তারাই বলেন দল সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে  । সোনার পাথর বাটী ।

Thursday, December 3, 2015

জন গন মন : শ্যামা প্রসাদ না থাকলে পশ্চিম বঙ্গ জেত পাকিস্থানে

জন গন মন : শ্যামা প্রসাদ না থাকলে পশ্চিম বঙ্গ জেত পাকিস্থানে: ৫ই ডিসেম্বর ২০১৫ সাপ্তাহিক বর্তমান প্ত্রিকা তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । যদিও বর্তমান পত্রিকা গোষ্ঠী এই প্রসঙ্গে বারবার তুলে ধরেছেন ।



ভারত বিভাজিত হল কিন্তু আমরা কি আমাদের সামনে আসা সমস্যা গুলি নিয়ে ভেবেছি । 

Wednesday, December 2, 2015

কমিউনিস্ট পার্টী কেন ছাড়লাম ? : যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক...

কমিউনিস্ট পার্টী কেন ছাড়লাম ? : যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক...: যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর । : {এই লেখাটি আগামী দিন পত্রিকা তে ৪/৩ /১৯৯৪ প্রকাশিত আনিরুদ্ধ উপাধ্যায় ছদ্ম নামে ।
মহাযোগী অরবিন্দ এই ভুমিকে জগত জননী র জীবন্ত প্রতি মূর্তি বলে বর্ণনা করেছেন তিনিই জগন্মাতা আদিশক্তি মহামায়া ও মহাদুরগা এই মূর্ত রুপ গ্রহণ করেছে । যাকে পুজা করতে পারি । এই ভুমিকে আমাদের দার্শনিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্দনা করেছেন ঃ
  "অয়ি ভুবন মন মোহিনী ---
                                       নীল সিন্দধু জল ধৌত চরণতল "
এই ভারত ভুমি কে ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র তার অমর সঙ্গীত বন্দে মাতরমে প্রনাম জানিয়েছেন যে গান কত সহস্র দেশপ্রেমিক যুবকদের হৃদয় কে আবেগে আপ্লূত করেছে । যার ফলে তারা হাসতে হাসতে দেশের স্বাধীনতার জন্য ফাঁসির মঞ্চে উঠেছে ।
কবি গেয়েছে " ত্ব ং হি দুর্গা দশপ্রহ রন ধারিণী ম "
এই ভুমিকে আমাদের মুনি ঋষিরা মাতৃ ভুমি ধর্ম ভুমি কর্ম ভুমি পুন্য ভুমি এবং বাস্তবিকে এটা দেব ভুমি ও মোক্ষ ভুমি । এই ভুমি সুপ্রাচীন কালথেকে আমাদের পরম প্রিয় পবিত্র ভারত মাতা । যার নাম শুনলে আমাদের হৃদয় তার প্রতি অসীম ভক্তিতে ভরে ওঠে ।
সমুদ্রের উত্তরে এবং হিমালয়ের দক্ষিণে দিক ব্যাপি যে ভুমি তার নাম ভারতবর্ষ তার সন্তানেরা হল ভারতীয় ।
           গ ঙ্গে চ য মুনে চৈ ব গোদাবরী সরস্বতী ।
            নর্মদে সিন্দধু কাবেরি জলে হস্মিন স ন্নিধিং কুরু ।।"
এই নদীগুলির পবিত্র জল আমাদের সমস্ত পাপ হরণ করে ।
এই ভুমির চেয়ে পবিত্র চেয়ে আমাদের কাছে আর কিছু নাই । তাই এর প্রতিটি ধুলি কণা প্রতিটি চেতন  অথবা জড় পদার্থ ,প্রতিটি প্রস্তর খণ্ড প্রতিটি বৃক্ষ ও নদীনালা আমাদের কাছে পবিত্র । অনেকে বলেন যা হবার হয়ে গেছে তাকে ভুলে যাও । খণ্ডিত দেহ নিয়ে মা যখন সন্তানের মুখের দিকে প্রতিদিন একদৃষ্টে চেয়ে থাকেন । তখন সন্তান তা ভুলতে পারে ?