একদিন যার ডাক শুনে বাংলার মানুষ কমিউনিস্ট পার্টি {মার্ক্সবাদী } রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়ে ছিল সেই জ্যোতি বসু সম্পর্কে কিছু কথা বলা দরকার । কোন কমিউনিস্ট জাতীয় স্তরে এত পরিচিতি ও তার মতামত এত গুরত্ব পায়নি যা জ্যোতি বসু পেয়েছে ।
জ্যোতি বসুর জন্ম শত বর্ষে আমি তার জীবনের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করতে চাই । তার রাজনীতি মুলতঃ পশ্চিম বঙ্গ ভিত্তিক হলেও তার খ্যাতি প্রভাব ও পরিচিতি ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এমন কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্যোতি বসু একটি পরিচিত নাম । টানা চার দশক বাংলার জননায়কের আসনে প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিরল ঘটনা ।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতাদের পটভূমিকা যদি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে , অধিকাংশ পয়সা বালা ঘরের সন্তান । কেউ বাবার জোরে ,কেউ মামার জোরে কেউ পিতামহ মাতামহের দৌলতে নেতৃত্ব পেয়েছেন । আবার কেউ পয়সার জোরে নেতা হয়েছেন । জও হর লাল নেহেরু বাবা মতিলাল নেহেরু ছিলেন বিরাট ধনী । নিজে ও কংগ্রেস ছিলেন । পিতার ছত্রছায়ার কংগ্রেসে ঢুকে অদ্বিতীয় নেতা হয় । তার পিছনে বাবার জোর ছিল । ইন্দ্রিরা গান্ধী তো নিছক বাবার জোরে ,বাবার নামে রাজনীতিতে ঢুকে ছিলেন । যদিও ইন্দ্রিরা গান্ধী নিজের ইতিহাস নিজে সৃষ্টি করে ছিলেন । যোগ্য নেতা হিসাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন । তারপর রাজীব গান্ধী এক মাত্র যোগ্যতা নেহেরু দৌহিত্র ,ইন্দ্রিরা গান্ধির ছেলে । সোনিয়া গান্ধী যার পরিচয় ইন্দ্রিরা গান্ধির পুত্র বধূ ।
জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বাবা তার বাড়িটা পর্যন্ত ছেলে কে দিয়ে যায় নি ।বড় দাদা ডাক্তার ছিলেন ।জলপাইগুড়ির ধনী রায় কত পরিবারের জামাই । আত্মীয় পরিজন সবাই উপর তলার মানুষ । স্বচ্ছল মানুষ ওরা । ব্যতিক্রম শুধু জ্যোতি বসু । একটা প্রসঙ্গ জ্যোতি বসুর প্রতি বিধান রায়ের যে দুর্বলতা ছিল তেমনি জ্যোতি বসুর দুর্বলতা ছিল । রাইটার্স বিল্ডিং এর সামনে যে ডাঃ বিধান রায়ের যে পুরনায়ব মূর্তি টি আছে জ্যোতি বসুর বামফ্রন্ট সরকারই প্রতিষ্ঠা করেছেন । কোন কংগ্রেস সরকার এইকাজ করেনি । তার পর প্রফুল্ল সেন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকার ছিল তারা এইকাজ করেনি । এরা বিধান রায় সম্পর্কে যা ভাবেননি জ্যোতি বসু তা করে দেখিয়েছেন । বিধান রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে জ্যোতি বসু বিধান রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন । এখানে তা র বৈশিষ্ট । ১৯৬২ সালে চীন আক্রমণের সময় প্রফুল্ল সেন অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতাদের জেলে পুড়েন । মু জাফর আহমেদ ,প্রমোদ দাসগুপ্ত , বিনয় চৌ ধুরি সরোজ মুখারজি কে গ্রেপ্তার করে বিনাবিচারে আটক রাখেন । এর মধ্যে বিনয় চৌধুরী জেল থেকে নির্বাচনে জেতেন । প্রফুল্ল সেন আর অতুল্য ঘোষের নির্যাতন ও অপপ্রচার রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তি শালি করে । সেদিন পুলিশের হাতে পশ্চিম বঙ্গ কে তুলে দিয়ে মহা উল্লাসে টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন আর গ্রেপ্তারি ফাইল সই করছিলেন । বাইরে থেকে দেখলে জ্যোতি বসুকে বেশ রাশভারি এবং দাম্ভিক মনে হয় । এই বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ ধুতি পাঞ্জাবি পড়া মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলে বোঝা যেত তিনি কত সাধাসিধে মানুষ মালদহ আর দুরগাপুরের রাজনৈতিক জীবনে আমি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছি । খাদ্য আন্দোলন ,উদ্বাস্তু আন্দোলন ,ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালি হয়েছে । উত্তাল হয়েছে ।
১৯৬৭ তে নয় মাস ১৯৬৯ সালে তেরো মাস এই অল্প সময়ে যুক্তফ্রন্ট সরকার লক্ষ লক্ষ একর জমি কৃষকের হাতে তুলে দিলেও ১৯৭০ সালে ওই সব জমিদার ভূস্বামী তাদের হাত থেকে ঐ জমিগুলি কেড়ে নেয় । ১৯৭৭ সালে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে তখন কৃষক সভার সাহায্যে কৃষকদের সমস্যা ও গ্রাম উন্নয়নের কর্মসূচী গ্রহণ করে ।
অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বারদি গ্রামে এক উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান । ঐ গ্রামে মাতুলালয় তাদের বিত্ত আর প্রতিপত্তি অনেক বেশি । জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালে ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারি সন রোডে র এক বাড়িতে । শিক্ষা শুরুতে ল্ররেট থেকে সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ । সেখান থেকে বিলেতে গেলেন আই সি এস হওয়ার জন্যে পিতার স্বপ্ন পুরনের জন্যে না হলে ব্যরি স্টার । উচ্চবিত্ত এবং অভিজাত শ্রেনির পিতার আশা পুরন হল না । জ্যোতি বসু আই সি এস হতে পারলেন না । বিলেতগামি সব বড় লোকের সন্তানের মতই রজনিকান্ত দত্ত হ্যারি পলিত প্রভৃতি কমিউনিস্ট ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা দের পাল্লায় পড়ে শ্রেণীচ্যুত না হয়েও সাম্যবাদী হয়ে উঠলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফিরে তৎকালীন বে আইনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফেরার পর ১৯৪১ সালে হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করলো । দেশ বিদেশের কমিউনিস্ট দের কাছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জনযুদ্ধে পরিণত হয় । তাই ভারতের কমিউনিস্ট দের কাছে অন্যান্য দেশের কমিউনিস্ট দের মত ফ্যাসিবাদী হিটলার কে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকলে ও সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ কে প্রাণপণ সাহায্য করতে লাগল । কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনীতি শক্তি যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ দের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেও কমিউনিস্টরা ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের ফ্যাসিস্ত অনুচর আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ যুদ্ধ প্ররোচনা কে সাহায্য করতে লাগল । তার বিনিময়ে কমিউনিস্ট পার্টী আইনি ঘোষিত করা হল ব্রিটিশ সরকার দ্বারা । অন্যদিকে কংগ্রেস ও অন্যান্য দের তারা গ্রেপ্তার করল ।
কমিউনিস্টরা খোলা ময়দানে সাম্রাজ্যবাদী শাসক ব্রিটিশ দের প্রত্যক্ষ বা পররিবারেরয়তায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম চালাতে লাগলেন । ভারতভুমিতে এই সংগ্রাম এর অর্থ দাঁড়ালো সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের যুদ্ধ কে সাহায্য করা । কমিউনিস্টরা প্রকাশ্য রাজনীতি করার সব সুযোগ পেলেন । কাজেই সামনে পথ প্রসস্থ হল ।
জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক উথানের কথা আলোচনা করতে তৎকালীন রাজনীতির কথা বললাম .। অভিজাত পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জ্যোতি বসু র জননায়ক জ্যোতি বসু তে রূপান্তরিত হলেন ।
১৯৪০ শে দেশে ফেরার পর এক বছর ১৯৪১ সালে কমিউনিস্ট আইনি পার্টী তে রুপ নেবার এই পার্টিতে একবছর বে আইনি পার্টির প্রকাশ্য নেতা হিসাবে কাজ করেছে অন্যদিকে বহু কমিউনিস্ট নেতাকে বছরের বছর জেলে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে । গরিব বস্তিতে বা শ্রমিক বস্তিতে তাকে রাত কাটাতে হয় নি । সৌভাগ্য জ্যোতি বসুকে সাহায্য করেছে জ্যোতি বসুকে দেশের নেতা হতে তাকে এই ক্লেশ সহ্য করতে হয়নি । বিলেত থেকে কমিউনিস্ট হয়ে আসার জন্য কোন রকম শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করতে হয়নি । সোভিয়েত রাশিয়া অনুগামী লেখক শিল্পী সহ নানা ধরনের সুবিধাভোগী লোক দের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ত ত্ব গত ভাবে কমিউনিস্ট জননায়ক হলেন জ্যোতি বসু ।
জ্যোতি বসুর জন্ম শত বর্ষে আমি তার জীবনের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করতে চাই । তার রাজনীতি মুলতঃ পশ্চিম বঙ্গ ভিত্তিক হলেও তার খ্যাতি প্রভাব ও পরিচিতি ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এমন কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্যোতি বসু একটি পরিচিত নাম । টানা চার দশক বাংলার জননায়কের আসনে প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিরল ঘটনা ।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতাদের পটভূমিকা যদি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে , অধিকাংশ পয়সা বালা ঘরের সন্তান । কেউ বাবার জোরে ,কেউ মামার জোরে কেউ পিতামহ মাতামহের দৌলতে নেতৃত্ব পেয়েছেন । আবার কেউ পয়সার জোরে নেতা হয়েছেন । জও হর লাল নেহেরু বাবা মতিলাল নেহেরু ছিলেন বিরাট ধনী । নিজে ও কংগ্রেস ছিলেন । পিতার ছত্রছায়ার কংগ্রেসে ঢুকে অদ্বিতীয় নেতা হয় । তার পিছনে বাবার জোর ছিল । ইন্দ্রিরা গান্ধী তো নিছক বাবার জোরে ,বাবার নামে রাজনীতিতে ঢুকে ছিলেন । যদিও ইন্দ্রিরা গান্ধী নিজের ইতিহাস নিজে সৃষ্টি করে ছিলেন । যোগ্য নেতা হিসাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন । তারপর রাজীব গান্ধী এক মাত্র যোগ্যতা নেহেরু দৌহিত্র ,ইন্দ্রিরা গান্ধির ছেলে । সোনিয়া গান্ধী যার পরিচয় ইন্দ্রিরা গান্ধির পুত্র বধূ ।
জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বাবা তার বাড়িটা পর্যন্ত ছেলে কে দিয়ে যায় নি ।বড় দাদা ডাক্তার ছিলেন ।জলপাইগুড়ির ধনী রায় কত পরিবারের জামাই । আত্মীয় পরিজন সবাই উপর তলার মানুষ । স্বচ্ছল মানুষ ওরা । ব্যতিক্রম শুধু জ্যোতি বসু । একটা প্রসঙ্গ জ্যোতি বসুর প্রতি বিধান রায়ের যে দুর্বলতা ছিল তেমনি জ্যোতি বসুর দুর্বলতা ছিল । রাইটার্স বিল্ডিং এর সামনে যে ডাঃ বিধান রায়ের যে পুরনায়ব মূর্তি টি আছে জ্যোতি বসুর বামফ্রন্ট সরকারই প্রতিষ্ঠা করেছেন । কোন কংগ্রেস সরকার এইকাজ করেনি । তার পর প্রফুল্ল সেন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকার ছিল তারা এইকাজ করেনি । এরা বিধান রায় সম্পর্কে যা ভাবেননি জ্যোতি বসু তা করে দেখিয়েছেন । বিধান রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে জ্যোতি বসু বিধান রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন । এখানে তা র বৈশিষ্ট । ১৯৬২ সালে চীন আক্রমণের সময় প্রফুল্ল সেন অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতাদের জেলে পুড়েন । মু জাফর আহমেদ ,প্রমোদ দাসগুপ্ত , বিনয় চৌ ধুরি সরোজ মুখারজি কে গ্রেপ্তার করে বিনাবিচারে আটক রাখেন । এর মধ্যে বিনয় চৌধুরী জেল থেকে নির্বাচনে জেতেন । প্রফুল্ল সেন আর অতুল্য ঘোষের নির্যাতন ও অপপ্রচার রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তি শালি করে । সেদিন পুলিশের হাতে পশ্চিম বঙ্গ কে তুলে দিয়ে মহা উল্লাসে টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন আর গ্রেপ্তারি ফাইল সই করছিলেন । বাইরে থেকে দেখলে জ্যোতি বসুকে বেশ রাশভারি এবং দাম্ভিক মনে হয় । এই বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ ধুতি পাঞ্জাবি পড়া মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলে বোঝা যেত তিনি কত সাধাসিধে মানুষ মালদহ আর দুরগাপুরের রাজনৈতিক জীবনে আমি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছি । খাদ্য আন্দোলন ,উদ্বাস্তু আন্দোলন ,ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালি হয়েছে । উত্তাল হয়েছে ।
১৯৬৭ তে নয় মাস ১৯৬৯ সালে তেরো মাস এই অল্প সময়ে যুক্তফ্রন্ট সরকার লক্ষ লক্ষ একর জমি কৃষকের হাতে তুলে দিলেও ১৯৭০ সালে ওই সব জমিদার ভূস্বামী তাদের হাত থেকে ঐ জমিগুলি কেড়ে নেয় । ১৯৭৭ সালে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে তখন কৃষক সভার সাহায্যে কৃষকদের সমস্যা ও গ্রাম উন্নয়নের কর্মসূচী গ্রহণ করে ।
অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বারদি গ্রামে এক উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান । ঐ গ্রামে মাতুলালয় তাদের বিত্ত আর প্রতিপত্তি অনেক বেশি । জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালে ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারি সন রোডে র এক বাড়িতে । শিক্ষা শুরুতে ল্ররেট থেকে সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ । সেখান থেকে বিলেতে গেলেন আই সি এস হওয়ার জন্যে পিতার স্বপ্ন পুরনের জন্যে না হলে ব্যরি স্টার । উচ্চবিত্ত এবং অভিজাত শ্রেনির পিতার আশা পুরন হল না । জ্যোতি বসু আই সি এস হতে পারলেন না । বিলেতগামি সব বড় লোকের সন্তানের মতই রজনিকান্ত দত্ত হ্যারি পলিত প্রভৃতি কমিউনিস্ট ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা দের পাল্লায় পড়ে শ্রেণীচ্যুত না হয়েও সাম্যবাদী হয়ে উঠলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফিরে তৎকালীন বে আইনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফেরার পর ১৯৪১ সালে হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করলো । দেশ বিদেশের কমিউনিস্ট দের কাছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জনযুদ্ধে পরিণত হয় । তাই ভারতের কমিউনিস্ট দের কাছে অন্যান্য দেশের কমিউনিস্ট দের মত ফ্যাসিবাদী হিটলার কে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকলে ও সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ কে প্রাণপণ সাহায্য করতে লাগল । কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনীতি শক্তি যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ দের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেও কমিউনিস্টরা ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের ফ্যাসিস্ত অনুচর আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ যুদ্ধ প্ররোচনা কে সাহায্য করতে লাগল । তার বিনিময়ে কমিউনিস্ট পার্টী আইনি ঘোষিত করা হল ব্রিটিশ সরকার দ্বারা । অন্যদিকে কংগ্রেস ও অন্যান্য দের তারা গ্রেপ্তার করল ।
কমিউনিস্টরা খোলা ময়দানে সাম্রাজ্যবাদী শাসক ব্রিটিশ দের প্রত্যক্ষ বা পররিবারেরয়তায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম চালাতে লাগলেন । ভারতভুমিতে এই সংগ্রাম এর অর্থ দাঁড়ালো সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের যুদ্ধ কে সাহায্য করা । কমিউনিস্টরা প্রকাশ্য রাজনীতি করার সব সুযোগ পেলেন । কাজেই সামনে পথ প্রসস্থ হল ।
জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক উথানের কথা আলোচনা করতে তৎকালীন রাজনীতির কথা বললাম .। অভিজাত পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জ্যোতি বসু র জননায়ক জ্যোতি বসু তে রূপান্তরিত হলেন ।
১৯৪০ শে দেশে ফেরার পর এক বছর ১৯৪১ সালে কমিউনিস্ট আইনি পার্টী তে রুপ নেবার এই পার্টিতে একবছর বে আইনি পার্টির প্রকাশ্য নেতা হিসাবে কাজ করেছে অন্যদিকে বহু কমিউনিস্ট নেতাকে বছরের বছর জেলে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে । গরিব বস্তিতে বা শ্রমিক বস্তিতে তাকে রাত কাটাতে হয় নি । সৌভাগ্য জ্যোতি বসুকে সাহায্য করেছে জ্যোতি বসুকে দেশের নেতা হতে তাকে এই ক্লেশ সহ্য করতে হয়নি । বিলেত থেকে কমিউনিস্ট হয়ে আসার জন্য কোন রকম শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করতে হয়নি । সোভিয়েত রাশিয়া অনুগামী লেখক শিল্পী সহ নানা ধরনের সুবিধাভোগী লোক দের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ত ত্ব গত ভাবে কমিউনিস্ট জননায়ক হলেন জ্যোতি বসু ।
No comments:
Post a Comment