৩৪ বছর একটানা বামফ্রন্টের নামে সি পি এম টানা ক্ষমতায় । কত শাখা প্রশাখা ,কত তাদের দলীয় সিস্টেম সেই বাম রাজত্ব কে থেকে উৎখাত করা সম্ভব একথা ভুলতে বসেছিল । আজ ক্ষমতার বাইরে থাকার কথা ভাবতে পারে না । আজ সি পি এম কে তাদের সংগঠনের ভুল কি , কারা সেই ভুল করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে । কমিউনিস্ট পার্টী গুলি কে গণতান্ত্রিক পার্টী রুপান্ত্রিত হতে হবে । ১৯৭৭ সালে বামপন্থী বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় বসে আর তখন থেকে সিপি এমের মধ্যে প্রথম কিছু ভালো কাজ দ্বিতীয় প্রক্রিয়া দলীয় আধিপত্য কায়েমের কাজ । যত দিন গেছে প্রথম প্রক্রিয়া দুর্বল হয়েছে ।
দলীয় আধিপত্যের পথ ধরে দলে অনিবার্য ভাবে দলে আবির্ভাব ঘটেছে দলীয় মাতবরদের । এরা দল বোঝে আদর্শ বোঝে না । দলীয় নির্দেশ মানেন , জনসাধারণের সাথে আলোচনার প্রয়োজন মনে করে না । এরাই দলীয় মুখ এরাই ক্ষমতার প্রসাদ বিতরণ করতেন আর নির্বাচনে ভোট ম্যানাজার এরা । জনসাধারণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে বল দর্পী এক শাসন স্থাপন করে ছিল এরাজ্যে কমিউনিস্ট রা । পরিণামে যা হবার তাই হয়েছে রাজ্যে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে । নেতা আর মাতবর এক নয় । নেতার কাজ হল কর্মী দের পথ নির্দেশ কর্মী দের তথা মানুষের চেতনার মান তৈরি করা । তাদের কাজের মুল্যায়ন করা , তদারকি করা ,পরামর্শ দেওয়া ও তার ব্যক্তি জীবনের সমস্যা গুলি শোনা , সমাধানে সাহায্য করা ।
মাতবরেরা এসবের কোন ধার ধারেন না । নিজের মর্জি তে চলেন ।
এরা আদর্শের ফসল নয় ক্ষমতার ফসল । তাই পালা বদলের পর এই মাতবররা জার্সি পাল্টে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তাদের মুল স্তম্ভ হয়েছে । এরাই সবচেয়ে আক্রামক ,সক্রিয় সব চেয়ে হিংস্র । কান ধরে আনতে বললে এরা এরা মুণ্ডু কেটে আনতে পারে ।
বোঝা আধিপত্য বাদের পথ ধরে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিক তা র নামে কেন্দ্রিক তার পরি চর্চা করেছে । আর এই পথে দিয়ে প্রবেশ করেছে মাতব্বরির কাল সাপ । আসলে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গী র প্রশ্ন বামপন্থী চিন্তায় আছে স্ববিরধিতা ।
জনগণই ইতিহাসের চালিকা শক্তি আবার তারাই বলেন দল সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে । সোনার পাথর বাটী ।
No comments:
Post a Comment