Thursday, December 10, 2015

জ্যোতি বসু আর বাংলা রাজনীতি

একদিন যার ডাক শুনে বাংলার মানুষ কমিউনিস্ট পার্টি {মার্ক্সবাদী } রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়ে ছিল সেই জ্যোতি বসু সম্পর্কে কিছু কথা বলা দরকার । কোন কমিউনিস্ট জাতীয় স্তরে এত পরিচিতি ও তার মতামত এত গুরত্ব পায়নি যা জ্যোতি বসু পেয়েছে ।


জ্যোতি বসুর জন্ম শত বর্ষে আমি তার জীবনের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করতে চাই । তার রাজনীতি মুলতঃ পশ্চিম বঙ্গ ভিত্তিক হলেও তার খ্যাতি  প্রভাব ও পরিচিতি ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এমন কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্যোতি বসু একটি পরিচিত নাম । টানা চার দশক বাংলার জননায়কের আসনে প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিরল ঘটনা ।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতাদের পটভূমিকা যদি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে , অধিকাংশ পয়সা বালা ঘরের সন্তান । কেউ বাবার জোরে ,কেউ মামার জোরে কেউ পিতামহ মাতামহের দৌলতে নেতৃত্ব পেয়েছেন । আবার কেউ পয়সার জোরে নেতা হয়েছেন । জও হর লাল নেহেরু বাবা মতিলাল নেহেরু ছিলেন  বিরাট ধনী । নিজে ও কংগ্রেস ছিলেন । পিতার ছত্রছায়ার কংগ্রেসে ঢুকে অদ্বিতীয় নেতা হয় । তার পিছনে বাবার জোর ছিল । ইন্দ্রিরা গান্ধী তো নিছক বাবার জোরে ,বাবার নামে রাজনীতিতে ঢুকে ছিলেন । যদিও ইন্দ্রিরা গান্ধী নিজের ইতিহাস নিজে সৃষ্টি করে ছিলেন । যোগ্য নেতা হিসাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন । তারপর রাজীব গান্ধী এক মাত্র যোগ্যতা নেহেরু দৌহিত্র ,ইন্দ্রিরা গান্ধির ছেলে । সোনিয়া গান্ধী যার পরিচয় ইন্দ্রিরা গান্ধির পুত্র বধূ ।
জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বাবা তার বাড়িটা পর্যন্ত ছেলে কে দিয়ে যায় নি ।বড় দাদা ডাক্তার ছিলেন ।জলপাইগুড়ির ধনী রায় কত পরিবারের জামাই । আত্মীয় পরিজন সবাই উপর তলার মানুষ । স্বচ্ছল মানুষ ওরা । ব্যতিক্রম শুধু জ্যোতি বসু । একটা প্রসঙ্গ জ্যোতি বসুর প্রতি বিধান রায়ের যে দুর্বলতা ছিল তেমনি জ্যোতি বসুর দুর্বলতা ছিল । রাইটার্স বিল্ডিং এর সামনে যে ডাঃ বিধান রায়ের যে পুরনায়ব মূর্তি টি আছে জ্যোতি বসুর বামফ্রন্ট সরকারই প্রতিষ্ঠা করেছেন । কোন কংগ্রেস সরকার এইকাজ করেনি । তার পর প্রফুল্ল সেন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকার ছিল তারা এইকাজ করেনি । এরা বিধান রায় সম্পর্কে যা ভাবেননি জ্যোতি বসু তা করে দেখিয়েছেন । বিধান রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে জ্যোতি বসু বিধান রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন । এখানে তা র বৈশিষ্ট । ১৯৬২ সালে চীন আক্রমণের সময় প্রফুল্ল সেন অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতাদের জেলে পুড়েন । মু জাফর আহমেদ ,প্রমোদ দাসগুপ্ত , বিনয় চৌ ধুরি সরোজ মুখারজি কে গ্রেপ্তার করে বিনাবিচারে আটক রাখেন । এর মধ্যে বিনয় চৌধুরী জেল থেকে নির্বাচনে জেতেন । প্রফুল্ল সেন আর অতুল্য ঘোষের নির্যাতন ও অপপ্রচার রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তি শালি করে । সেদিন পুলিশের হাতে পশ্চিম বঙ্গ কে তুলে দিয়ে মহা উল্লাসে টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন আর গ্রেপ্তারি  ফাইল সই করছিলেন । বাইরে থেকে দেখলে জ্যোতি বসুকে বেশ রাশভারি এবং দাম্ভিক মনে হয় । এই বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ ধুতি পাঞ্জাবি পড়া মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলে বোঝা যেত তিনি কত সাধাসিধে মানুষ মালদহ আর দুরগাপুরের রাজনৈতিক জীবনে আমি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছি । খাদ্য আন্দোলন ,উদ্বাস্তু আন্দোলন ,ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালি হয়েছে । উত্তাল হয়েছে ।
১৯৬৭ তে নয় মাস ১৯৬৯ সালে তেরো মাস এই অল্প সময়ে যুক্তফ্রন্ট সরকার লক্ষ লক্ষ একর জমি কৃষকের হাতে তুলে দিলেও ১৯৭০ সালে ওই সব জমিদার ভূস্বামী তাদের হাত থেকে ঐ জমিগুলি কেড়ে নেয় । ১৯৭৭ সালে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে তখন কৃষক সভার সাহায্যে কৃষকদের সমস্যা ও গ্রাম উন্নয়নের কর্মসূচী গ্রহণ করে ।
অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বারদি গ্রামে এক উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান । ঐ গ্রামে মাতুলালয় তাদের বিত্ত আর প্রতিপত্তি অনেক বেশি । জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালে ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারি সন রোডে র এক বাড়িতে । শিক্ষা শুরুতে ল্ররেট থেকে সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ । সেখান থেকে বিলেতে গেলেন আই সি এস হওয়ার জন্যে পিতার স্বপ্ন পুরনের জন্যে না হলে ব্যরি স্টার  । উচ্চবিত্ত এবং অভিজাত শ্রেনির পিতার আশা পুরন হল না । জ্যোতি বসু আই সি এস হতে পারলেন না । বিলেতগামি সব বড় লোকের সন্তানের মতই রজনিকান্ত দত্ত হ্যারি পলিত প্রভৃতি কমিউনিস্ট ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা দের পাল্লায় পড়ে শ্রেণীচ্যুত না হয়েও সাম্যবাদী হয়ে উঠলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফিরে তৎকালীন বে আইনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করলেন । জ্যোতি বসু দেশে ফেরার পর ১৯৪১ সালে হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করলো ।  দেশ বিদেশের কমিউনিস্ট দের কাছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জনযুদ্ধে পরিণত হয় । তাই ভারতের কমিউনিস্ট দের কাছে অন্যান্য দেশের কমিউনিস্ট দের মত ফ্যাসিবাদী হিটলার কে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকলে ও সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ কে প্রাণপণ সাহায্য করতে লাগল । কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনীতি শক্তি যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ দের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেও কমিউনিস্টরা ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের ফ্যাসিস্ত অনুচর আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ যুদ্ধ প্ররোচনা কে সাহায্য করতে লাগল । তার বিনিময়ে কমিউনিস্ট পার্টী আইনি ঘোষিত করা হল ব্রিটিশ সরকার দ্বারা । অন্যদিকে কংগ্রেস ও অন্যান্য দের তারা গ্রেপ্তার করল ।
কমিউনিস্টরা খোলা ময়দানে সাম্রাজ্যবাদী শাসক ব্রিটিশ  দের প্রত্যক্ষ বা পররিবারেরয়তায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী  সংগ্রাম চালাতে লাগলেন । ভারতভুমিতে এই সংগ্রাম এর অর্থ দাঁড়ালো সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের  যুদ্ধ কে সাহায্য করা । কমিউনিস্টরা প্রকাশ্য রাজনীতি করার সব সুযোগ পেলেন । কাজেই  সামনে পথ প্রসস্থ হল । 
জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক উথানের কথা আলোচনা করতে তৎকালীন রাজনীতির কথা বললাম .। অভিজাত পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জ্যোতি বসু র  জননায়ক জ্যোতি বসু তে রূপান্তরিত হলেন ।
১৯৪০ শে দেশে ফেরার পর এক বছর ১৯৪১ সালে কমিউনিস্ট  আইনি পার্টী তে রুপ নেবার  এই পার্টিতে একবছর বে আইনি পার্টির প্রকাশ্য নেতা হিসাবে কাজ করেছে  অন্যদিকে বহু কমিউনিস্ট নেতাকে বছরের বছর জেলে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে । গরিব বস্তিতে বা শ্রমিক বস্তিতে তাকে রাত কাটাতে হয় নি । সৌভাগ্য জ্যোতি বসুকে সাহায্য করেছে জ্যোতি বসুকে দেশের নেতা হতে তাকে এই ক্লেশ সহ্য করতে হয়নি । বিলেত থেকে কমিউনিস্ট হয়ে আসার জন্য কোন রকম শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করতে হয়নি । সোভিয়েত  রাশিয়া অনুগামী লেখক শিল্পী সহ নানা ধরনের সুবিধাভোগী লোক দের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে  ত ত্ব গত ভাবে কমিউনিস্ট  জননায়ক হলেন জ্যোতি বসু ।

কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রথম ভাঙন , তেনালি কনভেনশন

১৯৬৪ এপ্রিল মাসে ভারত রক্ষা আইনে আটক অধিকাংশ কমিউনিস্ট নেতা বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেলেন । এদের মধ্যে ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টীর জাতীয় পরিষদের সদস্য । চীন ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে ১৯৬২ সালে নভেম্বর মাস থেকে ভারত সরকার ভারত রক্ষা আইনে বিনা বিচারে শত শত কমিউনিস্টকে জেলে বন্দী করে । ভারত সরকার আটকে বিভেদ নীতি গ্রহণ করে ছিল । এই বিভেদ নীতি কার্যকর করতে মান দণ্ড ছিল চীন ও রাশিয়া পন্থী লেভেল অথবা জাতীয় পরিষদের সংখ্যা  গরিষ্ঠ পন্থী দের বিরোধী দের দীর্ঘ দিন জেলে আটকে রেখেছিল ।
১৯৫৮ সালে অমৃতসর শহরে পার্টি কংগ্রেসে ন্তুন গঠন তন্ত্র গ্রহণ করা হয় । এই গঠন তন্ত্র অনুসারে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সর্ব উচ্চ জায়গা পি বি র হাতে তুলে দেওয়া হয় । চালু হয় ত্রি স্তর ব্যবস্থা ।
জাতীয় পরিষদ , কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলী , কেন্দ্রীয় কার্যকারী সমিতি ।
জাতীয় পরিষদ থেকে ৩২ জন সদস্য ওয়াক আউট করে সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তার ভিত্তিতে তাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয় ।
বিবৃতি টির মুল বক্তব্য " আমরা সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি , ডাঙ্গে এবং তার সমর্থক দের বিভেদ মূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ও তাদের সংস্কার বাদী লাইনের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অবিচ্ছেদ অংশ । পার্টীর সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য এবং পার্টি ইউনিট গুলির নিকট আমাদের আহ্বান ডাঙ্গে আর তার গোষ্ঠীকে অস্বীকার করুন । কংগ্রেসের সাথে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের তাদের সংস্কার বাদী লাইন কে অস্বীকার করুন ।"
সংস্কার বাদী এই রাজনৈতিক লাইন নিয়ে মতবিরোধ দীর্ঘ দিনের । এই ৩২ জন নেতা পরবর্তী কালে সি পি আই এম দলের প্রতিষ্ঠাতা । এই রুপ পটভূমিকাতে ১৯৬৪ সালে ৭ই জুলাই থেকে ১১ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশে তেনালি তে বহু খ্যাত তেনালি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে ১৪৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন । রাজ্য অনুসারে আসাম ৫ দিল্লি ১ তামিলনাদু ২০ গুজরাট ১ জম্মু কাশ্মীর ২ বিহার ৭ মধ্য প্রদেশ ৩ অন্ধ্র ২৩ পশ্চিম বঙ্গ ২৩ পাঞ্জাব ৭ রাজস্থান ৪ মহারাষ্ট্র ১০ উত্তর প্রদেশ ১০ হিমাচল প্রদেশ ১ মহীশুর ৪ উড়িষ্যা ২ কেরলা ২০ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৩ জন ।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুজ ফর আহমেদের পতাকা উত্তলনের পর কনভেনশনের কাজ শুরু হয় । এই কনভেনশন পরিচালনা করে ছিলেন এ কে গো পালন ,জ্যোতি বসু  ও শিব ভারমা । বি টি রন দিভে জেলে বন্দি থাকার কারনে এই কনভেনশনে যোগ দিতে পারে নি ।
এই কংগ্রেসে পার্টি কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয় । কর্মসূচী নিয়ে যে খসড়া পেশ করা হল তার সাথে ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ একমত ছিলেন না ।
১৯৬৪ সালে ৩১ শে অক্টোবর থেকে ৭ই নভেম্বর ত্যাগ রাজ হলে জন্ম নিল আরেক পার্টি যারা ঘোষণা করল "THE SEVENTH CONGRES OF THE COMMIUNIST PARTY OF INDIA DECLEARS THAT THE DELIGATRS ASSEMBLED HERE ARE THE TRUE REPRESENTATIVES OF THE COMMIUNIST PARTY OF INDIA AND DANGE GROUP HAS NO RIGHT TO CALL ITSELF THE C.P.I ."

Wednesday, December 9, 2015



আমাদের বিদেশ সুষমা স্বরাজ ইসলামাবাদ । শরীফের সাথে আলোচনা ।


ভারতের শান্তি বার্তা ।

এগিয়ে চলা

রাজ্য রাজনীতির দু একটি প্রসঙ্গ ।

৩৪ বছর একটানা বামফ্রন্টের নামে সি পি এম টানা ক্ষমতায় । কত শাখা প্রশাখা ,কত তাদের দলীয় সিস্টেম সেই বাম রাজত্ব কে থেকে উৎখাত করা সম্ভব একথা ভুলতে বসেছিল । আজ ক্ষমতার বাইরে থাকার কথা ভাবতে পারে না । আজ সি পি এম কে তাদের সংগঠনের ভুল কি , কারা সেই ভুল করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে । কমিউনিস্ট পার্টী গুলি কে গণতান্ত্রিক পার্টী রুপান্ত্রিত হতে হবে । ১৯৭৭ সালে বামপন্থী বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় বসে আর তখন থেকে সিপি এমের মধ্যে প্রথম কিছু ভালো কাজ দ্বিতীয় প্রক্রিয়া দলীয় আধিপত্য কায়েমের কাজ । যত দিন গেছে প্রথম প্রক্রিয়া দুর্বল হয়েছে ।
দলীয় আধিপত্যের  পথ ধরে দলে অনিবার্য ভাবে দলে আবির্ভাব ঘটেছে দলীয় মাতবরদের । এরা দল বোঝে আদর্শ বোঝে না । দলীয় নির্দেশ মানেন , জনসাধারণের সাথে আলোচনার প্রয়োজন মনে করে না । এরাই দলীয় মুখ এরাই ক্ষমতার প্রসাদ বিতরণ করতেন আর নির্বাচনে ভোট ম্যানাজার এরা । জনসাধারণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে বল দর্পী এক শাসন স্থাপন করে ছিল এরাজ্যে কমিউনিস্ট রা । পরিণামে যা হবার তাই হয়েছে রাজ্যে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে । নেতা আর মাতবর এক নয় । নেতার কাজ হল কর্মী দের পথ নির্দেশ কর্মী দের তথা মানুষের চেতনার মান তৈরি করা । তাদের কাজের মুল্যায়ন করা , তদারকি করা ,পরামর্শ দেওয়া ও তার ব্যক্তি জীবনের সমস্যা গুলি শোনা , সমাধানে সাহায্য করা । 
মাতবরেরা এসবের কোন ধার ধারেন না । নিজের মর্জি তে চলেন ।
এরা আদর্শের ফসল নয় ক্ষমতার ফসল । তাই পালা বদলের পর এই মাতবররা জার্সি পাল্টে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তাদের মুল স্তম্ভ হয়েছে । এরাই সবচেয়ে আক্রামক ,সক্রিয় সব চেয়ে হিংস্র । কান ধরে আনতে বললে এরা এরা মুণ্ডু কেটে আনতে পারে । 
বোঝা আধিপত্য বাদের পথ ধরে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিক তা র নামে কেন্দ্রিক তার পরি চর্চা করেছে । আর এই পথে দিয়ে প্রবেশ করেছে মাতব্বরির কাল সাপ । আসলে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গী র প্রশ্ন বামপন্থী চিন্তায় আছে স্ববিরধিতা ।
জনগণই ইতিহাসের চালিকা শক্তি  আবার তারাই বলেন দল সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে  । সোনার পাথর বাটী ।

Thursday, December 3, 2015

জন গন মন : শ্যামা প্রসাদ না থাকলে পশ্চিম বঙ্গ জেত পাকিস্থানে

জন গন মন : শ্যামা প্রসাদ না থাকলে পশ্চিম বঙ্গ জেত পাকিস্থানে: ৫ই ডিসেম্বর ২০১৫ সাপ্তাহিক বর্তমান প্ত্রিকা তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । যদিও বর্তমান পত্রিকা গোষ্ঠী এই প্রসঙ্গে বারবার তুলে ধরেছেন ।



ভারত বিভাজিত হল কিন্তু আমরা কি আমাদের সামনে আসা সমস্যা গুলি নিয়ে ভেবেছি । 

Wednesday, December 2, 2015

কমিউনিস্ট পার্টী কেন ছাড়লাম ? : যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক...

কমিউনিস্ট পার্টী কেন ছাড়লাম ? : যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক...: যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর । : {এই লেখাটি আগামী দিন পত্রিকা তে ৪/৩ /১৯৯৪ প্রকাশিত আনিরুদ্ধ উপাধ্যায় ছদ্ম নামে ।
মহাযোগী অরবিন্দ এই ভুমিকে জগত জননী র জীবন্ত প্রতি মূর্তি বলে বর্ণনা করেছেন তিনিই জগন্মাতা আদিশক্তি মহামায়া ও মহাদুরগা এই মূর্ত রুপ গ্রহণ করেছে । যাকে পুজা করতে পারি । এই ভুমিকে আমাদের দার্শনিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্দনা করেছেন ঃ
  "অয়ি ভুবন মন মোহিনী ---
                                       নীল সিন্দধু জল ধৌত চরণতল "
এই ভারত ভুমি কে ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র তার অমর সঙ্গীত বন্দে মাতরমে প্রনাম জানিয়েছেন যে গান কত সহস্র দেশপ্রেমিক যুবকদের হৃদয় কে আবেগে আপ্লূত করেছে । যার ফলে তারা হাসতে হাসতে দেশের স্বাধীনতার জন্য ফাঁসির মঞ্চে উঠেছে ।
কবি গেয়েছে " ত্ব ং হি দুর্গা দশপ্রহ রন ধারিণী ম "
এই ভুমিকে আমাদের মুনি ঋষিরা মাতৃ ভুমি ধর্ম ভুমি কর্ম ভুমি পুন্য ভুমি এবং বাস্তবিকে এটা দেব ভুমি ও মোক্ষ ভুমি । এই ভুমি সুপ্রাচীন কালথেকে আমাদের পরম প্রিয় পবিত্র ভারত মাতা । যার নাম শুনলে আমাদের হৃদয় তার প্রতি অসীম ভক্তিতে ভরে ওঠে ।
সমুদ্রের উত্তরে এবং হিমালয়ের দক্ষিণে দিক ব্যাপি যে ভুমি তার নাম ভারতবর্ষ তার সন্তানেরা হল ভারতীয় ।
           গ ঙ্গে চ য মুনে চৈ ব গোদাবরী সরস্বতী ।
            নর্মদে সিন্দধু কাবেরি জলে হস্মিন স ন্নিধিং কুরু ।।"
এই নদীগুলির পবিত্র জল আমাদের সমস্ত পাপ হরণ করে ।
এই ভুমির চেয়ে পবিত্র চেয়ে আমাদের কাছে আর কিছু নাই । তাই এর প্রতিটি ধুলি কণা প্রতিটি চেতন  অথবা জড় পদার্থ ,প্রতিটি প্রস্তর খণ্ড প্রতিটি বৃক্ষ ও নদীনালা আমাদের কাছে পবিত্র । অনেকে বলেন যা হবার হয়ে গেছে তাকে ভুলে যাও । খণ্ডিত দেহ নিয়ে মা যখন সন্তানের মুখের দিকে প্রতিদিন একদৃষ্টে চেয়ে থাকেন । তখন সন্তান তা ভুলতে পারে ?

Saturday, November 28, 2015

কারগিল যুদ্ধ ও পাকিস্থান

[ এই লেখাটি ৩০ শে জুন ১৯৯৯ তে জাতির কথা পত্রিকা তে প্রকাশিত হয়ে ছিল । কার্গিল যুদ্ধের সময় ]

কাশ্মীরে কারগিল, দ্রাস বাতালিক প্রভৃতি অঞ্চলে পাক সেনাদের মদতে কাশ্মীরি আফগান প্রভৃতি উগ্র পন্থী রা যে সশস্ত্র অনুপ্রবেশ চালিয়েছে তার ফলে সীমান্তে শুরু হয়েছে ভারত পাকিস্থান যুদ্ধ । পাকিস্থান সৃষ্টির পর থেকে ই ১৯৪৭,১৯৬৫,১৯৭১ পরপর তিনবার দুই দেশে মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে আর কাশ্মীর ছিল সংঘাতের বলয়ের মধ্যে । আর এই সংঘাতের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে ।
সাংবিধানিক বিধি অনুসারে কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে সংযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন । সেই অন্তর্ভুক্তি কাশ্মীর কে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করেছে খণ্ডিত ভারতের । কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি অপরিবর্তনীয় এবং এই প্রশ্নে কোন বিতর্ক বা আলোচনা হতে পারে না । বরং দৃঢ় ভাবে পাকিস্থান কে অবিলম্বে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ১৯৪৭ সালের বেআইনি ভাবে এবং বল পূর্বক পাকিস্থান কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা খালি করে দিতে হবে । পাকিস্থানের সৈনিক রা ইউনিফর্ম ছেড়ে কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে । বাধ্য হয়ে মহারাজা হরি সিং ভারত ভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভূত করেন । এবং অঙ্গ রাজ্য কাশ্মীরের রক্ষায় ভারতীয় সেনা বাহিনী শৌর্য ও বীরত্বের সাথে সেদিন কাশ্মীরকে হানাদার মুক্ত করে । কাশ্মীরে যখন ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রায় গোটা রাজ্যকে হানাদার দুশমন দের কবল থেকে মুক্ত করতে চলেছে তখনই লর্ড মাউন ট ব্য টন এর চাপে পড়ে প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহেরু বিষয়টা রাষ্ট্র সঙ্ঘে নিয়ে গেছেন । ফলে দখলীকৃত অংশ রয়ে গেছে পাকিস্থানের হাতে । কাশ্মীর হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা স্বার্থ কেন্দ্র । পাকিস্থান ১৯৪৭ সাল থেকে ঘোষিত অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে । শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এই যুদ্ধের মীমাংসা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে । দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমান দের জন্যে স্বতন্ত্র পাকিস্থান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ভারতের নিরাপত্তা র প্রধান সমস্যা । পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠী ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে রাষ্ট্র চালাতে শুরু করলেন । পাকিস্থানের কাছ থেকে শুভ বুদ্ধি আশা করা অলীক কল্পনা মাত্র । কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থা কে চিরস্থায়ী ভাবে পঙ্গু করে রাখার চক্রান্ত চলছে । ১৯৪৮ সালে উপজাতি হানাদার দের ছদ্মবেশে পাকসেনা ঢুকিয়ে কাশ্মীরের ১/৪ অংশ জবর করার পর থেকেই পাকিস্থান সীমান্ত বরাবর নিয়মিত গোলা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে । আন্তর্জাতিক সীমানা কে এগিয়ে এনেছে তথাকথিত নিয়ন্ত্রন রেখা বরাবর । আবার এই নিয়ন্ত্রণ রেখাও পরিবর্তন চাই তাই ভারতের দিকে কামানের নল ঘুরিয়ে তাদের খামখেয়ালী বায়না চরিতার্থ করতে চায় । পাকিস্থান সন্ত্রাসবাদী দের কেবল প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে তাই নয় , ও দেশে নিরাপদে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে ঘুরে বেরাচ্ছে । সেখানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ ,অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পাক সরকারের মদতে । ভারতের সাম্প্রতিক শিরঃপিরা বোধ হয় সর্বাধিক এবং ততোধিক কুখ্যাত শব্দ ISI ।
মহম্মদ আলি জিন্নার মস্তিস্ক প্রসুত এই সংস্থা স্থাপনের মুল উদ্দেশ্য শত্রু রাষ্ট্র ভারতে অশান্তি সৃষ্টি করা।
জেনেরাল জিয়া উল হক কাশ্মীরী যুবক দের স্বপ্ন দেখাতেন তোমরা উগ্রপন্থা শুরু কর এবং আমরা আক্রমণ করব । তোমাদের কাশ্মীর স্বাধীন হবে । সেই আই এস আই এর কৌশল হল ১] প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ছোট ছোট বিদ্রোহ সৃষ্টি করা ।২] শ্রীনগর ,গাতপ ,কুপ্যারা বারামুলা প্রভৃতি অঞ্চলে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অস্ত্রাগার ,ও কার্যালয় আক্রমণ ৩] নিজেদের অনুগত লোক দিয়ে পুলিশ ,আর্থিক সংস্থা ,যোগাযোগ কেন্দ্রের ক্ষতি সাধন করা । ৪] ধর্মীয় অছিলায় ভারত বিদ্বেষী মন ভাবের প্রচার ।
দ্বিতীয় পর্যায় ১] ভারতীয় সেনা বাহিনী কে সিয়াচিন ,কারগিল ,এবং পুঞ্চ অঞ্চলে ব্যস্ত রাখতে হবে ।
যাতে তারা উপ তক্যার দিকে নজর দিতে না পারে । ২] আজাদ কাশ্মীরের অবসর প্রাপ্ত সেনা দের নিয়ে এক বিশেষ বাহিনী গঠন করে যারা বেতার কেন্দ্র ,বিমান বন্দর , কার্গিল ,লে , এর রাজপথ ধ্বংস করা । তৃতীয় পর্যায় কাশ্মীর কে ভারত থেকে বিছিন্ন করা ।
পাকিস্থানের তার অপারেশন শুরু করেছে । ভারতের রাষ্ট্র নেতা দের তাদের কাজ শুরু করতে হবে ।
অধিকৃত কাশ্মীর উদ্ধার ও সম্ভব হলে দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিহাসের অবসান করে অখণ্ড ভারত গঠন ।

কার্গিল যুদ্ধ

দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর ।

{এই লেখাটি আগামী দিন পত্রিকা তে ৪/৩ /১৯৯৪ প্রকাশিত আনিরুদ্ধ উপাধ্যায় ছদ্ম নামে । কমিউনিস্ট পারটি ছাড়ার পর প্রিন্ট মিডিয়াতে আমার এই লেখাটি  লিখি । সেদিন এই লেখা মারাত্বক বিতর্ক তুলে ছিল }

অমৃতসর চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৮৪৬ সালে । এই চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশ সরকার গুলাব সিং য়ের হাতে গিল গিট সহ জম্বূ ও কাশ্মীর অর্পণ করেন । গুলাব সিং নিজেকে মহারাজা রণজিৎ সিং এর বংশধর বলে দাবি করেন । এক কোটি টাকার উপঢৌকনের বিনিময়ে হস্তান্তর ঘটে । মহারাজা রণজিৎ সিং মোঘল সম্রাট দের কাছ থেকে ১৮১৯ সালে খৃস্টাব্দে জম্বূ ও কাশ্মীর হস্তগত করেন । তার বংশ ধর রা ১৮৪৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করে । ১৮৪৬ সালেই অমৃত সর চুক্তির ফলে কাশ্মীর রাজ্য ব্রিটিশ  নিয়ন্ত্রিত রাজ্য হিসাবে বিচ্ছিন্ন হয় । পরবর্তী কালে রণধীর সিং পরে গুলাব সিং এর পুত্র প্রতাপ সিং এবং তারপর মহারাজা হরি সিং কাশ্মীর রাজ্যে রাজা ছিলেন । ডঃ করণ সিং মহারাজা হরি সিং এর পুত্র । এই হল অতীত কাশ্মীরের ইতিহাস ।
ব্রিটিশ শাসনের প্রতক্ষ্য শাসনাধীন ভারত ও দেশি নৃপতি গনের অধীন শাসিত রাজ্য নিয়েই ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত বর্ষ । মহাযোগী অরবিন্দের কাছে এই ভুমি জগত জননী র জীবন্ত অভিমুরতি । ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র তার অমর সঙ্গীতে তার বন্দনা করেছেন । সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রিয় ও পবিত্র ভারতভুমি যার নাম শুনে আমাদের হৃদয় ভরে উঠে । এটাই তো দেশ প্রেম ধূর্ত ব্রিটিশ শাসক আমরা যাতে দেশপ্রেম ভুলে যেতে পারি তারজন্যে সাধারনের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে নানা বিভ্রান্তিকর ধারনার বিস্তার করে ছিল যাতে দেশের অখণ্ডতা অবিভাজ্য মূর্তির প্রতি যাতে দেশপ্রেম ও কর্তব্যের পুজা না করতে পারে ।
প্রাচীন কালে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বলতেন ।

       উত্তর ং যত সমুদ্র স্য হিমাদেশ্বইব্য দক্ষিণ ম , বর্ষ ং তদ ভারত ং নাম ভারতী যত্র সন্ততি ।
স্বামী বিবেকান্দের পুন্যভুমি । মাতৃ ভুমি জড় বস্তু নয় ,দেশটা শুধু পাথর আর মাটি নয় । দেশ বিকশিত মাতৃ মূর্তি । মাতৃভূমি র প্রতি অগ্নিময় ও বীরত্ব পূর্ণ ভক্তি ভাব না থাকার কারনে দেশ বিভাগ সম্ভব হয়েছে । মাতৃ ভুমির পবিত্র অখণ্ডতার জন্যে অটল সঙ্কল্প নিয়ে লড়াই করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি ।
জাতীয় নেতা রা শেষ বিন্দু  রক্ত দিয়ে দেশ ভাগ আটকানো র পরিবর্তে মেনে নিয়েছে ।
দেশ ভাগের চূড়ান্ত নিস্পত্তি এখন হয় নি ঘটনা প্রবাহ তাই প্রমান করে ।
বেঞ্জির ভুটু র পাকিস্তান জঙ্গি দের প্রতি সমর্থন মার্কিন স্ম্রাজ্যের অবস্থান ও বিল ক্লিনটন সাম্প্রতিক মন্তব্য ।
স্বাভাবিক ভাবে পাল্টা এ প্রশ্ন ও উঠতে বাধ্য মুসলমান দের আত্ম নিয়ন্ত্রনের দাবী বা পাকিস্থান সৃষ্টি র সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা ? পাকিস্থান সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের একটি সৃষ্টি মাত্র । স্মরণাতীত কাল থেকে এই এলাকাগুলি আমাদের মাতৃভূমির অখণ্ড অংশ রুপে বিরাজিত ।
লাহোরের পুন্য ইরাবতী তটেই জওহর লাল নেহেরুর সভাপতি ত্তে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার শপথ গ্রহণ করে ছিল । অতএব সেই লাহোরে আমাদের পতাকা করাকে অপরের ভুমি দখলের ইচ্ছে বলে কেমন করে অবহিত করা যায় ? 
আমাদের স্বাধীনতা তখনই সফল হবে যতক্ষণ অখণ্ড ভারত ভুমি মুক্ত করতে পারবো ।খণ্ডিত দেহ নিয়ে মা পুত্রের মুখের দিকে মায়ের প্রকৃত সন্তান কেমন করে ভুলে যাবে ।
যারা দেশ বিভাগের সমর্থনে যুক্তি দেখাবেন ,বলবেন "হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই " ।দেশ বিভাগ সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা র মত ।
তাকে এ প্রশ্নের অবশ্যই উত্তর দিতে হবে যে মাকে সাধারন সম্পত্তি হিসাবে তার সন্তানেরা কেটে খণ্ড খণ্ড করে ভাগ করেছে ? মাতৃ ভুমি যেন পণ্য বস্তু হয়ে পড়েছে । এটা ভোগের ভুমি ,সে আমার কাছে পুন্য ভুমি নয় । দেশের কোটি কোটি মা ও ভাই বোনের পিচাশ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে খণ্ড খণ্ড করার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল ,আজও অব্যাহত আছে । কাশ্মীর তার জলন্ত প্রমান ।
" একমাত্র আমার বুকের উপর দিয়েই দেশ ভাগ সম্ভব " মহাত্মা গান্ধির প্রতিশ্রুতি ।
জও  হর লালের ক্ষমতা লাভের লোভ আর মহ ন্মদ আলি জিন্নার উচাকাঙ্খা আর এদেশের কমিউনিস্ট  দের " pakistan is just deamand for the Muslim home land "  শহিদ মিনারে সভায় তারা দাবি তুলেছিল পাকিস্থানের দাবি মানতে হবে তবে ভারত স্বাধিন হবে । মহাত্মা গান্ধী তার প্রতিজ্ঞা বজায় রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত তিনি দেশ ভাগের স ন্মতি দিয়ে ছিলেন । সেদিন সীমান্ত গান্ধী কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন "গান্ধীজী আমাদের নেকড়ের মুখে ছুঁড়ে দিলেন "
আর প্রধান মন্ত্রী র চেয়ারে বসে নেহেরু বললেন " আমরা তখন ভীষণ শ্রান্ত ক্লান্ত । ন্তুন করে জেলে যাবার জন্য আমরা মানসিক ভাবে প্রস্তত ছিলাম না ।"
ইতিহাসের হিসেব নিকেশ পরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা দেখব সেদিন যে ভুল করেছি তা সংশোধন করা জরুরী । আজ এই বিষয় নিয়ে ভাবা জ্রুরি । স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে অটল জী ভাবতেন ।
১৯৪৭,৬৫,৭১ সালে যুদ্ধে হাজার হাজার দেশপ্রেমিক যোদ্ধাদের রক্ত পাতের বিনিময়ে কাশ্মীর কে ভারতে যোগদান সম্পন্ন ও রক্ষিত হয়েছে । কাশ্মীর নিয়ে চক্রান্ত কারী রা নূতন ভাবে ভাবতে শুরু করেছে । আমাদের দিক থেকে সাং বিধানিক বিধি নিয়ম অনুযায়ী , যে সময় থেকে কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং সেখানকার জনপ্রতিনিধি মূলক সংগঠন জাতীয় কনফারেন্স তাকে সম্পূর্ণ ভাবে অনুমদন করে  তখনি কাশ্মীর ভারতভুক্তি কাজ সম্পন্ন ।
কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি অপরিবর্তনীয় এবং এ প্রশ্নে কোন বিতর্ক বা আলোচনা চলতে পারে না ।এই সমস্ত শক্তিকে দৃঢ় ভাবে ১৯৪৭ সাল থেকে বে আইনি ভাবে এবং বলপূর্বক পাকিস্থান কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা খালি করে দেওয়া । আমাদের অন্য কোন আলোচনা তে যাবার প্রয়োজন নেই । রাষ্ট্র সঙ্ঘ পাকিস্থানের অনুপ্রবেশ  জঙ্গি পাঠানো বন্দ করতে ব্যর্থ । বিদেশী শক্তি গুলি কে পুনরায় ক্ষমতার রাজনীতি নোংরা খেলা বন্দ করতে হবে । নরেন্দ্র মোদী সারা দুনিয়াতে সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র নেতা দের সচেতন করার ফলে পরিস্থিতি র পরিবর্তন হচ্ছে । কারন আমাদের জওয়ান দের সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ কে আমরা অব হেলা বা পদ দলিত করা যাবে না ।
তাস খণ্ডে আলোচনাতে আমরা দেখেছি সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ কারি আর আক্রান্ত কে একী পর্যায়ে ফেলা হয়েছিল । আলোচনায় কোন কাজ হবে না যতদিন পাকিস্থান কাশ্মীর কে ভারতের অবিচ্ছেদ অংশ  হিসাবে স্বীকার করছে । ততদিন সমস্ত আলোচনা বন্ধ থাক ।পাকিস্থানের পক্ষ থেকে ভারত আক্রমণের আশংকা এখন শেষ হয়ে যায় নি । পাকিস্থান ন্তুন অস্ত্র ,সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করছে ।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় আলোচনা জরুরী যে সমস্ত ধর্মাবলম্বী একমাত্র পয়গম্বর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ ,এক ঈশ্বর ছারা মানব আত্মার মোক্ষ লাভের কোন পথ নেই একথা যারা বিশ্বাস করে এরাই বিশ্বে  অসহনশীল তার জন্ম দেয় । ধর্মের মানুষ কে বিভক্ত করে । মুসলিম দের স্বত্ন্র রাষ্ট্র  অর্থাৎ পাকিস্থান সৃষ্টি তার জ্বলন্ত প্রমান । পাকিস্থান সৃষ্টি র সিদ্ধান্ত টি সঠিক ইতিহাসের আলোয় পর্যালোচনা করা অবশই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ।
ব্রিটিশ রা ভারত ত্যাগ করার দেশকে খণ্ড খণ্ড করে দেবার চক্রান্তে লিপ্ত হয় । পরিশেষে ভারত, পাকিস্থান, দেশীয় নৃপতি দের শাসিত রাজ্য গুলি সম্পর্কে কিছু শাসন তান্রিক ঘোষণা করে । দেশীয় রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে তারা মারাত্মক কৌশল করে গেলেন । এই রাজ্য গুলি নিজ নিজ রাজার অধীনে থাকবে । ভারতবর্ষ কে খণ্ড খণ্ড করে দেবার চক্রান্ত করেছিল ব্রিটিশ রা ।
ইতিহাসের এই  সময় সর্দার বল্লভ ভাই কে স্মরণ করবে চিরদিন ভারতভুমি ।আজ একথা অস্বীকার করা যাবে না তার প্রদর্শিত জ্ঞান, লক্ষ্য দৃঢ়টা সেদিন আমাদের এই খণ্ডিত ভারতবর্ষ কে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন । আগামী দিনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল মুল্যায়ন হবে । ভারতীয় জনতা পার্টি র সরকার বর্তমান প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সেই কাজ শুরু করেছে ।
মহারাজা হরি সিং দৃঢ় চেতা ব্যক্তি ছিলেন না । তিনি স্থির করতে পারছিলেন না কোন পক্ষে যোগ দেবেন ভারতে না পাকিস্থানে । তিনি ভারত আর পাকিস্থানের সাথে শুধু আলোচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন । মহারাজা হরি সিং এর মনস্থির করার অভাবের ফলে পাকিস্থান কাশ্মীর বিতর্কে ঢুকে পড়ে । এই রাজ্যে ১৯৩২ সাল থেকে  রাজনৈতিক কাজ কর্মের ধারা  বিকশিত হচ্ছিল সেই ধারা থেকে উঠে আসে শেখ আব্দুল্লা । ভারত না পাকিস্থান এই সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা  মহারাজা হরি সিং এর থাকলেও  জনমতের উপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল না ।  শেখ আবদুল্লা মহারাজাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করার সংগ্রামে লিপ্ত থাকলেও তিনি পাকিস্থানের সঙ্গে কাশ্মীর যাক এটা তিনি চাইতেন না ।এই রকম পরিস্থিতি তে পাকিস্থান কাশ্মীর আক্রমণ করে ।১৯৪৮ সালে ২২ অক্টোবর উপজাতি হানাদার সেজে পাকিস্থানের নিয়মিত বাহিনী হানাদার সেজে কাশ্মীর অভিযান করে । বাধ্য হয়ে মহারাজা হরি সিং জরুরী বার্তা পাঠান মাউন ট বাটেন এ র কাছে তিনি নিঃ শর্তে ভারতে যোগ দিতে ইচ্ছুক । ইতিহাস বলবে সেদিন ভারত সরকার কাশ্মীরের জন্য হা পিত্যেশ করেনি যে কাশ্মীর ভারত ভুক্ত হোক । বরং মহারাজা হরি সিং করুন আবেদন করেছিলেন "অনুগ্রহ করে আপনাদের সৈন্য পাঠিয়ে আমাদের রক্ষা করুন ।আমরা অগ্নি সংযোগ ,ধর্ষণ্‌ , ও বিধবংসের শিকার হয়েছি । "
শেখ আবদুল্লা র সম্মতিতে মহারাজা হরি সিং কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি সিদ্ধান্ত নিলেন । শেখ আবদুল্লা তাকে সমর্থন করলেন । এই সমস্ত দলিল দস্তাবেজ ভারত সরকারের কাছে আছে । এবং রাষ্ট্র সঙ্ঘের দরবারে সমস্ত লিপিবদ্ধ আছে । সেদিন রাষ্ট্র সঙ্ঘে যেতে চাইনি কারন কাশ্মীরের জনমত তাদের পক্ষে ছিল না । কাশ্মীরিরা ছিল ভারতে যোগ দানের পক্ষে । 
রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এ পর্যন্ত যতরকম দার্শনিক মতবাদ আছে তার মধ্যে সর্বজন স্বীকৃত হল রাষ্ট্রের জন্য প্রথম দরকার অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড এবং এই ভূখণ্ডে বসবাস করেন যে সমস্ত মানুষ তাদের মনের মধ্যে মাতৃভূমি হিসাবে নিজেদের পরিচালন ,নিরাপত্তা ও সম বৃদ্ধি র স্থান হিসাবে সেই ভূখণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা ভাব । তাদের জীবনাদর্শ সং স্কিতি অনুভুতি , আবেগ ,বিশ্বাস ওঐ তিহ্যের সম্মেলনে তাদের জীবন ধারা গড়ে উঠবে ।
জনগণের মনে আমাদের মাতৃ ভুমির সজীব ও পুরনাংগ রুপ চির উজ্জল রাখতে এবং তার দেবি সত্তাকে ভক্তি রুপে জাগ্রত রাখার মহান কর্তব্য আমাদের সামনে। মাতৃ ভুমির পবিত্রতা ও অখণ্ডতা রক্ষা জন্যে আরও প্রয়োজনে আরও রক্ত দিতে হতে পারে । ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি তে বিচার নয় বরং এদেশের শত্রু দের সাথে একাত্মতা বোধ মনোভাব নিয়ে যারা চলেছেন ,বিদেশের ভুমিকে নিজেদের পবিত্র ভুমি কে নিজেদের পবিত্র ভুমি যারা মনে করেন । মানসিক ভাবে দেশের শত্রু দের সাথে নিজেদের একাত্মবোধ মনে করেন । নিজেদের মাতৃ ভুমি কে সংকটে ফেলার চক্রান্ত যারা করছে । এই সমস্ত রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিকে চিনহিত করতে হবে । ১৯৪৭ সালে এই সমস্ত রাষ্ট্র দ্রোহী র কাছে আমরা রনে ভঙ্গ দিয়ে দেশ বিভাগের নিন্দনীয় ইতি টেনে স্বাধীনতার  গৌরব জনক লড়াই ও আমাদের সমস্ত অধিকার কে জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের ই দেশের বিরাট অংশে তাদের আধিপত্য কে নীরবে মেনে নিয়েছি । দেশের দুটি  তারা প্রভুত্ব করার সাথে সাথে বর্তমানে আমাদের দেশের অবশিষ্ট অংশটি জিতে নেবার মতলব আঁটছে । দেশের মধ্যে পঞ্চম বাহিনী সক্রিয় ।
আজ আক্রমণ কারী র কাছে দুটি পর্ব আছে । উভয় পথে ই এই সচেত না থাকে যে সে আক্রমণকারী ও শত্রু ভাবাপন্ন । আমাদের সরলতা অথবা এস মিটিয়ে নিই । উভয় মনোভাবের মধ্যে আক্রমণকারী র  বাস্তব উপস্থিতি বর্তমান । ভয়ের কারনে সন্তুষ্ট বিধানের নামে উদারমনা বা ধর্ম নিরপেক্ষ ইত্যাদি ছদ্ম আচরণ বর্জন করতে হবে জাতীয় নেতাদের । ব্যক্তিগত আদর্শ ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন এক অ ভিন্ন জাতীয় আদর্শের প্রতি আসক্তিই হল জাতীয় সং হতি ও সম্প্রীতি র বাস্তব ও চিরন্তন কেন্দ্র বিন্দু   ।
প্রশ্ন এখানে ,পাকিস্থান সমর্থকেরা কি সবাই এদেশ থেকে চলে গেছে । এখনও অনেকে আছেন যারা পাকিস্থান কে সমর্থন করেন । পাকিস্থান সৃষ্টি র পর রাতারাতি সব দেশ ভক্ত বনে গেছে এই বিশ্বাস হবে নিজেদের ঠকানো ও আত্মহত্যার সামিল । পাকিস্থানের তাদের আক্রমণ কৌশল বরাবর দু মুখো ।একটি সরাসরি সংগ্রাম ,আক্রমণ । জিন্নার প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ।
আমদের নেতারা যারা দেশভাগের অন্যতম শরিক তারা এই দুঃসহ ঘটনাকে " ভাইয়ের সাথে ভায়ের ভাগ বাটোয়ারা " ।ইত্যাদি বলে চুন কাম করার চেষ্টা করলেও নগ্ন সত্য যে আমাদের মাতৃ ভুমিকে কেটে একটি জঙ্গি ইসলামী বার করা হয়েছে ।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক আর্নল্ড ত্যেনবি র ভাসায়" এই দেশ সম্পূর্ণ পদানত রাখার স্বপ্ন মুসলমানরা দেখে আসছে বিংশ শতাব্দী তে পাকিস্থান সৃষ্টি ই হল তাদের স্বপ্ন রুপায়নের প্রথম সফল পদক্ষেপ ।"
আজকে এ প্রশ্ন আসা উচিত ব্যক্তির আনুগত্য দেশের বাইরে অন্যত্র কেন্দ্রিত তাকে আমরা দেশদ্রোহী বলি । তাহলে কোণ ব্যক্তি যদি দেশের বাইরের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে সেতা কি দেশের প্রতি আনুগত্যের আরও বেশি অভাব তথা দেশদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে না কেন ?

।বি দ্র ঃ দুই একটি আপডেট করা হয়েছে ।




                                             India Pak war 1965

                                           


Thursday, November 19, 2015

নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ছদ্ম সেকুলার বাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করুন



  ভারতের গণতন্ত্রের সেরা উপহার নরেন্দ্র মোদী হিন্দু হৃদয়ের সম্রাট  আমাদের ভারত মাতার  সন্তান যার হাত ধরে উন্নয়নের পথ ভারত জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে । ভারত আবার জগত গুরু হবে ।